Big Breaking: খবর মিলল: MLA খুনে চার্জশিটে MP, রহস্যময় বাদ মুকুল!

কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের হত্যাকান্ডে সোমবার জমা পড়া চার্জশিটে রয়েছে বিজেপি এমপি জগন্নাথ সরকারের নাম। আর সিআইডি তদন্তে একই তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাদ মুকুল রায়ের নাম। এনিয়ে তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’এর খবর হুবহু মিলে গেল। চারদিন আগেই এই চার্জশিটের বিষয়ে যা যা লেখা হয়েছিল, দেখা গেল ঠিক তাই হল।

২০১৯ সালে সরস্বতী পুজোর সময় খুন হন সত্যজিৎ। এর তদন্ত নিয়ে জল বহুদূর গড়ায়। এফআইআরে নাম ছিল বিজেপি এমপি জগন্নাথ সরকার এবং নেতা মুকুল রায়ের। মুকুল ডিসচার্জ পিটিশন করেও মামলা থেকে বেরোতে পারেননি। জেলা আদালত তা নাকচ করে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ফের তদন্ত করে সিআইডি।

সিআইডি সূত্রে খবর, তদন্তে জগন্নাথ ও মুকুল, দুজনের বিরুদ্ধেই বহু তথ্য ও সাক্ষ্য তাঁরা সংগ্রহ করেন। এরপর রিপোর্ট দিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ চাইছিলেন। নির্দেশ আসে সাংসদ জগন্নাথের বিরুদ্ধে চার্জশিট হবে। কিন্তু মুকুলের বিরুদ্ধে হবে না। তদন্ত এখনও খোলা রাখা হবে। এই খবর ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’এ প্রকাশিত হয়। রাজনীতিতেও ঝড় ওঠে। কেন মুকুলকে বাদ রাখা হল, তা নিয়ে বিজেপিতেও বহু চর্চা হয়।

সোমবার চার্জশিট পেশের পর দেখা গেল খবর মিলে গিয়েছে।
জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে খুনের চক্রান্তে জড়িত থাকার ধারা দিলেও মুকুল রায়ের নাম যে বাদ রাখা হয়েছে; তাও লিখে দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে, মুকুল বাদ কেন? যদি জগন্নাথকে চার্জশিটে রাখা হয়, তাহলে মুকুল বাদ কেন? তাহলে কি নেপথ্যে কোনো খেলা চলছে? মুকুলকে না জড়িয়ে বিজেপির মধ্যে শান্তিতে প্রতিষ্ঠিত রাখার পরিকল্পনা হয়েছে? মুকুল শিবির বলছে, এই জন্যেই ওঁকে চাণক্য বলা হয়। বিজেপি আর তৃণমূল, দুই শিবিরকেই নিয়ন্ত্রণে রেখে চলছেন। জগন্নাথের ঘনিষ্ঠমহল গোটা বিষয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ। তাঁরা সভাপতি দিলীপ ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। দলের মধ্যে থেকে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাও করছেন তাঁরা। তৃণমূল শিবির বলছে গোটাটা পুলিশের বিষয়। এরমধ্যে রাজনীতি নেই।

কিন্তু তদন্তকারীদের একাংশই বিস্মিত। তাঁদের মতে যে তথ্য প্রমাণে জগন্নাথকে অভিযুক্ত করা হল, কার্যত একই তথ্যপ্রমাণে মুকুলকে চার্জশিট দেওয়ার সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গেল না। এটা বিস্ময়কর।
ফলে এদিন আপাতত স্বস্তি পেলেন মুকুল। অবশ্য তাতে বিপদ কাটছে না। কারণ পরবর্তী চার্জশিটের দরজা খোলা থাকছে। তাছাড়া ডিসচার্জ করতে গেলে আবার অভিযোগকারীর বয়ান শুনতে হবে। যেহেতু মুকুলের নাম এফআইআরে আছে, তাই আইনি জটিলতা এখনই শেষ হচ্ছে না।

বিষয়টি অবশ্য পুলিশি তদন্ত থেকে আপাতত রাজনীতির ময়দানে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন-চাঞ্চল্যকর! গোপন চিনা নজরদারি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, গান্ধী পরিবার, মমতা, রতন টাটাদের উপর

 

Previous articleভোটের মুখে তৃণমূলের ‘হিন্দি সেল’
Next articleরাজ্যে হিন্দি অ্যাকাডেমি গঠন করল সরকার