যানজটের জন্য দেরিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে, ভেস্তে গেল ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন

যানজটের জেরে মাত্র ১০ মিনিট দেরি হয়েছিল। ৭০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এসেও পরীক্ষা দেওয়া হলো না নিট পরীক্ষার্থীর। বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা ওই নিট পরীক্ষার্থীর নাম সন্তোষ কুমার যাদব। সল্টলেকের এপিজে স্কুলে পরীক্ষার সিট পড়েছিল তাঁর৷

রবিবার ছিল সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা। দুপুর দুটো থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয় দেশজুড়ে। আর এই পরীক্ষা দিতেই শনিবার সকালে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন সন্তোষ। দু’বার বাস পাল্টে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে ১০ মিনিট দেরি হয় তাঁর৷ অভিযোগ, তাই নিট পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি তাঁকে৷ যার ফলে এ বছরের মতো তাঁর ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন অধরা থেকে গেল।

সন্তোষের জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৮টায় দ্বারভাঙা থেকে তিনি বাস ধরে মুজফফরপুর পৌঁছন৷ সেখান থেকে বাস ধরে পাটনায় যান। কিন্তু ওই রাস্তায় ব্যাপক যানজট হয়। যার ফলে প্রায় ৬ ঘণ্টা দেরি হয়। পাটনা থেকে রাত ৯টার বাসে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন ওই ছাত্র৷ রবিবার বেলা ১ টা নাগাদ পৌঁছন শিয়ালদহ স্টেশনে। সেখান থেকে একটি ট্যাক্সি নিয়ে সল্টলেকের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে ১০ মিনিট দেরি হয়।

মহামারি পরিস্থিতিতে পরীক্ষার জন্য একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। পরীক্ষা শুরুর ৩ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এই বিষয়ে সন্তোষ বলেন, “দুপুর ২টো থেকে পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল৷ আমি পৌঁছই বেলা ১:৪০ মিনিটে৷ নিয়ম অনুযায়ী, পৌঁছনোর কথা দুপুর ১:৩০মিনিটে। ওই স্কুলে যারা পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের আমি বারবার অনুরোধ। ওঁরা বললেন আমার পৌঁছতে দেরি হয়েছে। সেই কারণে আমি পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারব না। ১০ মাস ধরে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। মাত্র ১০ মিনিট দেরির জন্য পুরো বছরটা নষ্ট হলো।”

Previous articleকরোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যায় বেজিংকে ছাড়ালো বাংলাদেশ
Next articleমাথায় কুড়ুল মেরে নৃশংস খুন তৃণমূলকর্মীকে! স্পষ্ট অভিযোগ বিজেপির দিকে