মাথায় কুড়ুল মেরে নৃশংস খুন তৃণমূলকর্মীকে! স্পষ্ট অভিযোগ বিজেপির দিকে

প্রতীকী ছবি

এমন নৃশংসতা আপনার গায়ে কাঁটা দেবে। কিন্তু সেটাই ঘটলো। মাথায় কুড়ুলের কোপ মেরে নৃশংস ভাবে যুব তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হল। আর অভিযোগের তির বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আজ, সোমবার সকালে নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে দেহ উদ্ধার হয়েছে জমির আল থেকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হবিবপুর থানার ঋষিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গান্ধীনগর এলাকায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় হবিবপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পরে ঘটনাস্থলে আসেন মৃতার পরিবারের লোকেরা। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির মদদপুষ্ট দুষ্কৃতীরা জড়িত রয়েছে বলে মৃতের পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ তুলেছেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুবোধ প্রামানিক (৩৮)। তাঁর বাড়ি শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌড়ীমারি গ্রামে। প্রতিদিনের মত রবিবার বিকালে জমিতে গিয়ে গিয়েছিলেন সুব্রত। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর মোবাইলের সুইচ অফ ছিল। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর সুবোধ প্রামানিকের কোনি হদিস পাননি পরিবারের লোকেরা। সোমবার সকালে ঋষিপুরের গান্ধীনগর এলাকার কিছু মানুষ জমিতে কাজ করতে যাওয়ার সময় রক্তাক্ত এবং ক্ষত-বিক্ষত ওই ব্যক্তির দেহ জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন । এরপরই গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, কুড়ুল জাতীয় কোনও বস্তু দিয়ে মাথার মাঝে একাধিকবার কোপ মেরে খুন করা হয়েছে। মাথা এবং মুখটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুবোধ প্রামানিক হবিবপুর ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এলাকায় তার ভাবমূর্তি অত্যন্ত ভালো ছিল। পরিবারের স্ত্রী সহ দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে।

স্থানীয় যুব তৃনমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য পদে ছিলেন তিনি। জমি জায়গার পাশাপাশি কাঠের ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কারোর কোনও বিবাদ ছিলো না। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে যুব তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবার এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

এই নৃশংস ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতীরা যদি গ্রেফতার না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। খুনের কিনারা করতে ও দোষীদের ধরতে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।

Previous articleযানজটের জন্য দেরিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে, ভেস্তে গেল ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন
Next articleরাজ্য পুলিশে ব্যাপক রদবদল, বদলি একাধিক জেলা সুপার