উমরকে জেরা করতে ১১ লক্ষ পাতার নথি তৈরি, প্রস্তুতি তুঙ্গে দিল্লি পুলিশের

দিল্লি হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে ছাত্রনেতা উমর খালিদকে। তাঁকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ছাত্রনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ১১ লক্ষ পাতার নথি পুলিশ তৈরি করেছে বলে জানা গিয়েছে। ফের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে তোলা হবে উমর খলিদকে।

উমর খালিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-বিরোধী ইউএপিএ আইনে মামলা করা হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন এবং খুনের ষড়যন্ত্রর অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভিডিও শুনানিতে পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, দিল্লি হিংসার ব্লু প্রিন্ট উমর তৈরি করেছেন। উমরের আইনজীবী ত্রিদীপ পেইস আদালতে বলেন, যে সময় দিল্লি হিংসার ঘটনা ঘটে, সেই সময় দিল্লিতেই ছিলেন না ছাত্রনেতা।

দিল্লি হিংসার সম্পর্কিত একটি পৃথক চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিশ। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৮ জানুয়ারি শাহিনবাগের প্রতিবাদ মঞ্চে আম আদমি পার্টির বহিষ্কৃত নেতা ও বর্তমানে জেলবন্দি তাহির হুসেনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন খালিদ৷ চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, এনআরসি-সিএএ বিরোধী শাহিনবাগ মঞ্চ থেকেই তাহিরের সঙ্গে মিলে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করেন খালিদ৷ শুধু তাই নয়, খালিদের ভাষণও দিল্লি হিংসা উস্কানি দিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, দিল্লি পুলিশের একটি চার্জশিটে দিল্লি হিংসায় জড়িত সন্দেহে সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির নামও উঠে এসেছে। উমরের গ্রেফতারি নিয়ে ক্ষুব্ধ সিপিআইএম। তাদের কথায়, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা আইনে উমরকে গ্রেফতার করা মানে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা। এইভাবে আসলে আগামী দিনের আন্দোলনকে ভাঙতে চাইছে কেন্দ্র। সেই কারণেই এক্ষেত্রে ইউএপিএ আইনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিবৃতি দিয়ে সিপিআইএম জানিয়েছে, দুই বিজেপি নেতা প্রকাশ্যে ঘৃণা ছড়িয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। সিএএ- র বিরোধিতা করায়, রোষের মুখে পড়তে হলো তরুণ নেতাকে। উমরের আগে নতাশা নারওয়াল, দেবাঙ্গনা কালিটার মতো জেএনইউ পড়ুয়াদেরও আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয় জামিয়ার পড়ুয়া মেরিয়ান হায়দার, কংগ্রেসের ইশরাত জাহান।

আরও পড়ুন-কত পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু জানা নেই বলে ক্ষতিপূরণের প্রশ্নও নেই, সংসদে জানাল কেন্দ্র