Thursday, November 6, 2025

কাশ্মীরে সমস্যা নেই, সমস্যা সরকারের: গুজরাটেই ক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

Date:

জঙ্গি-মুক্ত কাশ্মীর! তা সত্ত্বেও যে কোন ভিআইপি (VIP) গেলেই তার সঙ্গে সেখানে সেনাবাহিনীর লম্বা-চওড়া কনভয়। অথচ বৈসারণ উপত্যকার মতো জায়গায় কয়েকশো সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কোনও বন্দোবস্ত নেই। আসলে কাশ্মীর নয়, সমস্যা কেন্দ্রের সরকারের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নিজের রাজ্য গুজরাটে (Gujarat) নিহতের বাড়ি গিয়ে এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সি আর পাতিলকে (C R Patil)। এমনকি মৃতের নাবালক ছেলে দাবি করে, এই সরকার আর কিছুই দিতে পারবে না তাদের।

পহেলগামে জঙ্গি হানায় মৃত্যু হয় গুজরাটের (Gujarat) সুরাটের বাসিন্দা শৈলেশ কালথিয়ার। গুজরাট থেকে একটি বড় দল অভিশপ্ত দিনে পহেলগামের বৈসারণ ভ্যালিতে ছিলেন। ছোট্ট নক্ষ কালথিয়া দাবি করে, হঠাৎই সবাই দৌড়াতে শুরু করে। কেউ কারণ বুঝতে পারেনি। সবাইকে দেখে তারাও দৌড়াতে শুরু করে। এরই মধ্যে কয়েকজন জঙ্গি তাদের ঘিরে নেয়। এমন বেশ কিছু কথা বলে যা ছোট নক্ষ বুঝতে পারেনি। তবে হিন্দুদের আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা ও কলমা পড়ার কথা তার কানে যায়। এর পরে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে জঙ্গি গুলি চালায় তার বাবার মাথায়। তার সামনেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে শৈলেশ।

প্রায় আধ ঘন্টার গুলি চলার পর্ব শেষ হলে স্থানীয় মানুষ উদ্ধার করতে আসে জীবিত থাকা মহিলা ও শিশুদের। তারাই কাউকে ঘোড়ার পিঠে চাপিয়ে, কাউকে হাঁটিয়ে পাহাড়ি পথ ধরে নিচে নামিয়ে আনে। সেখানে নামার পর প্রায় দেড় ঘন্টা পরে সেনা জওয়ানদের দেখা পান তারা, জানান শৈলেশের স্ত্রী শীতল।

সেখানেই ব্যর্থ কেন্দ্রের সরকারের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, এটা আমাদের কেমন সরকার? আপনারা কাশ্মীরকে বদনাম করছেন। কিন্তু কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) কোনও সমস্যা নেই। সমস্যা তো সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেই। যে পর্যটন কেন্দ্রে এত পরিমাণ পর্যটক উপস্থিত সেখানে কোন নিরাপত্তা নেই। কোন চিকিৎসার সুযোগও নেই।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাতিল (C R Patil) কালথিয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। আর সেখানেই ক্ষোভ উগরে দেয় গোটা পরিবার। ব্যাংক কর্মী শৈলেশ চার বোনের একমাত্র ভাই ছিলেন। নিজের দুই সন্তানের সামনে যেভাবে তাঁকে খুন হতে হয়, তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না শৈলেশের ছোট্ট ছেলে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সে জানায়, এই সরকার তো শেষ হয়ে গেছে। এত বড় জঙ্গি হামলা হল, অথচ কোনও সেনা সেখানে নেই। নিচে যে আর্মির বেস ক্যাম্প তারা জানতেই পারল না, বিষ্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন ছোট্ট ছেলেটির।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে শীতল দাবি করেন, ভিআইপিদের (VIP) কনভয়ে এত নিরাপত্তা থাকে। আর যারা করদাতা (taxpayers) তাদের জীবনের কি কোন মূল্য নেই? আমাদের উদ্ধার করার বদলে সেনাবাহিনী আমাদের প্রশ্ন করছে, কেন আমরা পাহেলগাম গিয়েছি। আমার স্বামী একজন করদাতা ছিলেন, আর তাঁর যখন চিকিৎসা সবথেকে বেশি প্রয়োজন ছিল তখনই কোন সুবিধা পেলাম না আমরা। আমরা এর বিচার চাই, সরকারকে এর উত্তর দিতে হবে।

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...
Exit mobile version