আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ আছে। মাঠের ধারে রয়েছে কাশফুলের চেনা ছবিও। বৃহস্পতিবার ভোরে বাঙালির ঘরে ঘরে বেজে উঠেছে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী। সূচনা হলো দেবীপক্ষের। কিন্তু মহামারি আবহে সবকিছুই পাল্টে গিয়েছে। প্রাণের উৎসব এবার কীভাবে হবে তা ভেবেই কুল করতে পারছে না বাঙালি। এদিকে আবার একটা বছরের বেশি সময় কাটিয়ে উমা ফিরছেন ঘরে। মহালয়ার সঙ্গে চলতি বছর দুর্গা ষষ্ঠীর পার্থক্য ১ মাসেরও বেশি। কিন্তু কেন এমনটা হলো?

বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী চলতি বছর আশ্বিন মাস ‘মলিন মাস’। চলতি ভাষায় যাকে বলা হয় মল মাস। অর্থাৎ এই মাসে কোন পুজো করা যাবে না। পুরোহিতদের কথায়, তিথি নক্ষত্রের সূক্ষ হিসাব মেলাতেই এই মাসের উদ্ভব। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেক ১৯ বছর অন্তর আশ্বিন মাস মল মাস হয়। এর আগে ১৯৮২, ২০০১ সাল মল মাস ছিল। মল মাসে বছরগুলিতে দুর্গাপুজো হয় কার্তিক মাসে। ১৯ বছরের হিসেব অনুযায়ী এরপর ২০৩৯ সালে আশ্বিন মাস মল মাস হবে।

পণ্ডিতদের বক্তব্য, সূর্যের একমাস গড়ে ৩০ দিনে সম্পূর্ণ হয়। চাঁদের ক্ষেত্রে সময়টা লাগে ২৭ থেকে সাড়ে ২৯ দিন। প্রত্যেক মাসে একটা নির্দিষ্ট সময়ের ফারাক থাকে। প্রতিবছর এই হিসাব গিয়ে দাঁড়ায় ১১ দিনে। সূর্য এবং চাঁদের এই ফারাক নিয়ন্ত্রণ করতে আড়াই থেকে তিন বছর অন্তর একটি মাসকে মল মাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পৌষ মাস ছাড়া বাকি সব মাস মল মাস হয়। ঠিক যেমন ১৯ অন্তর মল মাস হয় আশ্বিন মাস।

আরও পড়ুন- রোগী সঙ্কট! ১২ টি হাসপাতালে বন্ধ হচ্ছে করোনা চিকিৎসা
