অতিমারি আবহেই থাবা বসাচ্ছে ঘাতক স্ক্রাব টাইফাস, আক্রান্ত ১৩,৭০০

অতিমারি আবহেই থাবা বসাচ্ছে অন্য এক ঘাতক। কাবু আট থেকে আশি। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া নয়- এর নাম ঘাতকের নাম স্ক্রাব টাইফাস। কোভিড-19-র দাপট যখন তার বিস্তার অব্যাহত রেখেছে, ঠিক সেই সময়ে অজান্তেই থাবা বসিয়েছে স্ক্রাব টাইফাস। সেপ্টেম্বরের প্রথমেই জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে ১৩,৭০০ জন আক্রান্ত। মৃত্যুর কোনও খবর নেই। স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে আসা প্রতি দশ রোগীর মধ্যে ২-৩ জন স্ক্রাবের কামড়ে অসুস্থ। ইতিমধ্যে আলাদা সেল খোলা হয়েছে এর জন্য। সেলের তথ্য অনুযায়ী স্ক্রাব টাইফাসের আক্রমণে সব চেয়ে বেশি অসুস্থ মুর্শিদাবাদে। তারপরই পূর্ব মেদিনীপুর, তৃতীয় উত্তর চব্বিশ পরগনা।

উত্তর শহরতলির ডানলপ, বরানগর থেকেও স্ক্রাব টাইফাসে অসুস্থতার খবর মিলছে।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর কথায়, গত দু’মাসে মুর্শিদাবাদ, কলকাতা-সহ কমবেশি সব জেলায় স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণ বেড়েছে। কিন্তু সমস্যা হল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা স্ক্রাব টাইফাসের লক্ষণ বুঝতেই পারেন না। ফলে রোগী দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়েন। খিঁচুনি হয়ে জ্ঞান হারান বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
ডেঙ্গুর মতোই রক্তের এলাইজা টেস্ট করে বোঝা যায় স্ক্রাব টাইফাসের আক্রমণ। মাঠ বা বাগানের ইঁদুরের ঘাড়ে বা পিঠে বসে থাকা অতি ক্ষুদ্র এক ধরনের কীটের দংশনে এই রোগ হয়। কামড়ের তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে জ্বর, গা-ব্যথা, বমিভাব শুরু হয়। স্বাস্থ্য অধিকর্তার কথায়, রোগ ধরতে না পারলে মৃত্যু অবধারিত। রাজ্যের ৩০টি হাসপাতালকে স্ক্রাবের চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে স্ক্রাবের তথ্যের জন্য স্বাস্থ্য দফতর আলাদা ওয়েব পোর্টাল তৈরি হবে। তবে প্রাইভেট চিকিৎসকদের কীভাবে এই পোর্টালে যুক্ত করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
স্বাস্থ্য দফতরের স্ক্রাব গাইডলাইনে অনুযায়ী,

• জ্বর পাঁচ দিনের বেশি হলেই ডেঙ্গুর মতো এলাইজা টেস্ট করতে হবে।
• ডক্সিসাইক্লিন ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল রোগীকে দিতে হবে।
• রোগীর ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত কোনও অংশে ছোট-গভীর ক্ষত, সঙ্গে জ্বর, তীব্র যন্ত্রণা হলেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য দফতরের।

আরও পড়ুন- বায়োপিকে অভিনয় করবেন হৃত্বিক! কী বললেন মহারাজ