অর্থের লোভ! মায়ের প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে খুন বাবাকে

বাবাকে হত্যা করতে মা এবং তাঁর প্রেমিককে সাহায্য করল কলেজ পড়ুয়া। ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকল দত্তপুকুর। মঙ্গলবার সকালে দত্তপুকুর থানার মোচপোল এলাকা থেকে উদ্ধার হয় পেশায় দিনমজুর দেবানন্দ মণ্ডলের গলাকাটা দেহ। ঘটনায় অভিযোগের তির নিহতের স্ত্রী বৃহস্পতি মণ্ডল ও পুত্র সৌমেন মণ্ডল সহ গৌতম দে নামে এক ব্যক্তির দিকে। ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বারাসাত পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ৩ জন খুনর ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিল। পরিকল্পিতভাবে দেবানন্দকে নিয়ে মদের আড্ডায় বসে গৌতম। ওই আসরে মদের বোতল ভেঙে খুন করা হয় দেবানন্দকে। খুনের এই পরিকল্পনায় গৌতমকে সাহায্য করেছিল দেবানন্দের ছেলের সৌমেন। পুলিশের ধারণা, বাবার মৃত্যুর পর অর্থের মালিক হওয়ার লোভেই এই কাজ করে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌমেন।

জানা গিয়েছে, বারাসাত বারাকপুর রোডে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন দেবানন্দ এবং গৌতম। সেই সময় থেকেই দেবানন্দের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে গাইঘাটার গৌতম। সেই সূত্রেই দেবানন্দের স্ত্রী বৃহস্পতির সঙ্গে সম্পর্ক হয় গৌতমের। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  কর্মচ্যুত হয় গৌতম এবং দেবানন্দ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, চাকরি চলে যাওয়ার পর দেবানন্দ দিনমজুরের কাজ শুরু করেন। দেবানন্দ বাড়ি থেকে বেরোলেই গৌতম পৌঁছে যেত বৃহস্পতির কাছে। প্রেমে পথের কাঁটা দেবানন্দকে খুন করার পরিকল্পনা করে দুজন মিলে। পুলিশের অনুমান, অর্থের লোভে মা এবং তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে হাত মেলায় সৌমেন। বারাসাত জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর জানিয়েছেন, খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত ৩ জন। বুধবার তাদের বারাসাত আদালতে হাজির করা হয়। ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন-রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নয়, আগের নির্দেশ বহাল রাখল গ্রিন ট্রাইবুনাল

 

Previous articleঅতিমারি আবহেই থাবা বসাচ্ছে ঘাতক স্ক্রাব টাইফাস, আক্রান্ত ১৩,৭০০
Next articleবউকে করোনার ধোঁকা দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে মস্তি! যুবককে ধরে আনল পুলিশ