NIA জেরার মুখে ভেঙে পড়ছে ৬ আল-কায়দা জঙ্গি! উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

ট্রানজিট রিমান্ডে মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত ৬ আল-কায়দা জঙ্গিকে আজ, শনিবার রাতের মধ্যেই দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও NIA গোয়েন্দারা বিশেষ কারণে এদিন রাতে দিল্লি যাচ্ছে । আজ রাতে কলকাতার NIA দফতরের রাখা হয়েছে মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত ৬ জঙ্গিকে। সূত্রের খবর, রাতে সেখানেই চলছে টানা জেরাপর্ব। তারপর ভোরের আলো ফুটতেই বিমানে ধৃতদের নিয়ে NIA দিল্লি উড়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, NIA-এর দুঁদে গোয়েন্দাদের টানা জেরায় ভেঙে পড়ছে ৬ জঙ্গি। কখনও তাদের এককভাবে জেরা করা হচ্ছে। আবার কখনও রোটেশনে মুখোমুখি বসিয়ে চলছে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ। গোয়েন্দাদের প্রশ্ন বাণে জঙ্গিরা উগরে দিচ্ছে তথ্য। যেখানে থেকে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে NIA-এর হাতে।

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, বিশেষ করে টেরর স্ট্রাইকের তথ্য গোয়েন্দাদের চোখ কপালে তুলেছে! দেশের অভ্যন্তরে নিরীহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করে টেরর স্ট্রাইক করার পরিকল্পনা ছিল আল-কায়দা জঙ্গিদের! পাকিস্তানের করাচি থেকে শুধু নির্দেশের অপেক্ষায় ছিল তারা।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদের ডোমকল ও জলঙ্গি থেকে ৬ আল-কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে NIA. একই সময়ে কেরলের এর্নাকুলাম থেকেও গ্রেফতার হয় মুর্শিদাবাদবাসী ৩ আল-কায়দা জঙ্গি। আদালতে পেশ করার আগে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে রাজধানী দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলার ছক কষেছিল তারা।

গ্রেফতারের পরই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পায় গোয়েন্দারা।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছিল, ধৃত জঙ্গিরা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করত। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমেই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করত। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমেই চলত জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করে জঙ্গি মতাদর্শ ছড়িয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হত। প্রভাবিত হয়ে গেলেই তারপর সরাসরি জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ করা হত সেইসব যুবকদের। জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়দা এদের “উল্ফ লোন” হিসেবে ব্যবহার করত। অর্থাৎ, এই জঙ্গিরা দল বেঁধে নয়, বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে ছোট ছোট টার্গেটের মধ্যে দিয়ে মানুষের মধ্যে সন্ত্রাসের ভীতি সঞ্চার করার কাজ করে। ফলে আপনার পাশের বাড়ির ছেলেটি জঙ্গি কিনা অথবা পাশের জঙ্গি কার্যকলাপ হয় কিনা, আপনি টের পাবেন না।

এদিকে, এদিনই বিকেলেই ব্যাংকশাল আদালতে পেশ করা হয় ধৃত ৬ জঙ্গিকে। NIA সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে UAPA আইনের ১৬, ১৭, ১৮, ১৮বি, ৩৮, ২০ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ধৃত জঙ্গিদের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর মধ্যেই দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে তাদের তোলা হবে। এরপর ২৮ তারিখ ফের কলকাতার ব্যাংকশাল কোর্টে ধৃত জঙ্গিদের হাজির করানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এবং তদন্তের রিপোর্ট জমা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে NIA-কে।

আরও পড়ুন : রাতভর জেরা চলবে কলকাতাতেই, ভোর হতেই জঙ্গিদের নিয়ে দিল্লি উড়ে যাবে NIA

Previous articleসোনামসজিদ দিয়ে ১৯৯ টন ভারতীয় পেঁয়াজ এল বাংলাদেশে
Next articleবিজিবি বিএসএফ সম্মেলনে সীমান্তে হত্যা বন্ধের আশ্বাস