দলিত সাহিত্য আকাদেমি’র চেয়ারম্যান হলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী, জানালেন ইচ্ছার কথা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনকয়েক আগে ঘোষণা করেছেন রাজ্যে ‘দলিত সাহিত্য আকাদেমি’ গঠনের কথা৷ রাজ্য সরকার ওই আকাদেমির চেয়ারম্যান পদে লেখক মনোরঞ্জন ব্যাপারী-কে মনোনীত করেছে৷

আর চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব নিয়েই মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী দলিত সাহিত্যের বিস্তারের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা সফল কয়েকটি কাজ অতি দ্রততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে চাই৷” ঠিক কী কাজ সদ্যনিযুক্ত চেয়ারম্যান করতে চান, তাও জানিয়েছেন তিনি৷

মোট ১৩ দফা ‘ইচ্ছা’ তিনি প্রকাশ করেছেন:

১) দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি লাইব্রেরি স্থাপনা৷ প্রথম কক্ষে বাংলা ভাষায় লিখিত বা অন্য ভাষা থেকে বাংলায় অনূদিত সমস্ত দলিত সাহিত্য, যা দলিত মানুষের জীবন সংগ্রামের উপর, দলিত লেখক দ্বারা লিখিত, সেই সমস্ত বইকে রাখা হবে ।

দ্বিতীয় কক্ষে, দলিত জীবনের উপর লিখিত অ-দলিত লেখকদের দ্বারা লিখিত সমস্ত গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতার বই রাখা হবে৷

২) দলিত সাহিত্য আকাদেমির একটি নিজস্ব প্রকাশনা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে৷

আরও পড়ুন- সাইবার হামলা চালিয়ে ভ্যাকসিনের তথ্য চুরির অভিযোগ চিনের বিরুদ্ধে

৩) কলেজ স্ট্রিটের বই পাড়ায় আকাদেমি পরিচালিত একটি দলিত পুস্তক বিপনন কেন্দ্র চালু করা৷

৪) প্রতি বছর কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বইমেলায় যোগদান।

৫) আকাদেমি নির্ধারিত স্থানে মাসে একবার সাহিত্য অনুষ্ঠান৷ উদ্দেশ্য, দলিত কবি- লেখককে উৎসাহ প্রদান৷ প্রতি তিনমাসে একটি নিজস্ব পত্রিকা প্রকাশ ।

৬) ওই পত্রিকা এবং বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত বাছাই করা গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক নিয়ে বাৎসরিক একটি সঙ্কলন প্রকাশ ।

৭) আকাদেমির তরফে দলিত লেখক, কবিদের উৎসাহিত করার জন্য সাহিত্য পুরস্কার প্রচলন ।

৮) দলিত লেখকদের দিয়েই দলিত-মনীষীদের ও বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে কৃতী মানুষদের জীবনী প্রকাশ ৷

৯) দেশভাগের বলি হওয়া দুঃস্থ দলিত, শ্রমজীবী উদ্বাস্ত, যারা বাংলায় ও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছেন, তাদের নিজের কথা অবিকৃত প্রকাশ করে সত্যচিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরা৷

১০) বাংলা দলিত সাহিত্যকে ইংরাজি সহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ৷

১১) দলিত সাহিত্য ও সমাজজীবন নিয়ে বিতর্ক সভার আয়োজন । এই বিতর্কে উচ্চবর্ণের বর্নবাদীদেরও আমন্ত্রন জানানো হবে৷

১২) দলিত বা অ-দলিত গবেষকদের দলিত জীবন, সমাজ, ইতিহাস, বিষয়ক গবেষনা লব্ধ জ্ঞান বা পাণ্ডুলিপি
সংরক্ষন৷

১৩) পশ্চিমবঙ্গের যেখানে যত দলিত লেখক, কবি, আছেন তাদের নাম ঠিকানা, পরিচিতি, প্রকাশিত পুস্তক তালিকা, পুস্তক বিষয়ক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সম্বলিত একটি পুস্তক প্রকাশ।

মনোরঞ্জনবাবু একইসঙ্গে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছার কোনও অভাব নেই। এখন দেখা যাক, ওনার সহযোগিতায় আমরা সবাই মিলে কতদূর কী করতে পারি”৷

আরও পড়ুন- প্রেমিকের বাড়ির সামনে ৩৬ ঘণ্টা ধরনা, অবশেষে মধুরেন সমাপয়েৎ

 

Previous articleপ্রেমিকের বাড়ির সামনে ৩৬ ঘণ্টা ধরনা, অবশেষে মধুরেন সমাপয়েৎ
Next articleডেপুটি স্পিকারের উপর হামলা চরম লজ্জার, সরব কেন্দ্রের শীর্ষ মন্ত্রীরা