প্রেমিকের বাড়ির সামনে ৩৬ ঘণ্টা ধরনা, অবশেষে মধুরেন সমাপয়েৎ

প্রেমিকার মন পেতে তাঁর বাড়ির সামনে রোদ-বৃষ্টিতে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা, সিনেমাতে এমন দৃশ্য ভূরি ভূরি মেলে। বছর কয়েক আগে উত্তরবঙ্গে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে তার বাড়ির সামনে ধরনা দিয়েছিল প্রেমিক যুবক। তবে এবার হল উল্টো।

বিয়ের দাবিতে টানা ৩৬ ঘণ্টা যুবকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন তরুণী অঞ্জনা রায়। তবে দীর্ঘ দিনের প্রেমিকাকে পাত্তা দিতে রাজি ছিলেন না সমীর সাহা। বিয়ে তো দূর অস্ত। কিন্তু তরুণীর জেদ। বিয়ে তাঁকে করতেই হবে।অবশেষে পাড়ার লোকের চাপে ও তরুণীর জেদের কাছে নতি স্বীকার করলেন ওই যুবক। হল মধুরেন সমাপয়েৎ।পড়শিরা দু’জনের চার হাত এক করে দিলেন। এমনই এক বিয়ে হল জলপাইগুড়ির মিলপাড়ায়।

আরও পড়ুন : প্রকৃতির খেলা! বিসর্জন শেষে আকাশে এবার ‘ব্লু মুন’

নববধূ জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৩ বছর ধরে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। আর সেই সম্পর্ক অনেক দূর গড়িয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি ওই যুবক ফোন ধরছিলেন না। সর্ম্পকও অস্বীকার করছিলেন।

ফলে বাধ্য হয়ে খুট্টিমারি এলাকা থেকে ছেলের বাড়িতে হাজির হন তিনি। বাড়িতে ঢুকতে না পেরে গেটের বাইরেই টানা ৩৬ ঘণ্টা বসেছিলেন। শুক্রবার সকাল থেকে ধরনা দেওয়ার পর স্থানীয়দের অনেকে এগিয়ে আসেন। কিন্তু বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না ওই যুবক। শনিবার সন্ধেয় শেষে এলাকাবাসীর চাপে ও যুবতীর জেদে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে রাজি হন ওই যুবক। চারহাত এক হয়।

বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই যুবকের বাড়িতে ভিড় জমে যায়।

পাড়া-পড়শির চাপে, মেয়ের জেদে বিয়ে হলেও তাঁরা কতটা সুখী হবেন তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে সকলেই বলছেন বিয়ে যখন হয়েই গিয়েছে, দাম্পত্যও সুখের হবে। সকলেই অঞ্জনা-সমীরকে সেই আশীর্বাদই করেছেন।

Previous articleসাইবার হামলা চালিয়ে ভ্যাকসিনের তথ্য চুরির অভিযোগ চিনের বিরুদ্ধে
Next articleদলিত সাহিত্য আকাদেমি’র চেয়ারম্যান হলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী, জানালেন ইচ্ছার কথা