পচা খাবার পরিবেশন! পুরসভায় অভিযোগ দায়ের করে ফের গর্জে উঠলেন মিমি

তিনি একদিকে যেমন অভিনেত্রী, অন্যদিকে নেত্রী। আবার একদিকে যেমন মানবিক, ঠিক অন্যদিকে প্রতিবাদী! তিনি মিমি চক্রবর্তী। টলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী। যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর কোমল হৃদয় যেমন অসহায় মানুষের জন্য কাঁদে। ঠিক একইভাবে অন্যায়ের মুখে ঘুষি মারেন টাইসনের মতো!

নিজের প্রতিবাদী ভাবমূর্তির জন্য চিরকালই প্রশংসা কুড়িয়েছেন মিমি। ফের প্রতিবাদী রূপে খুঁজে পাওয়া গেলো তাঁকে। সাংসদ বা সেলিব্রিটি বলে নয়, ছোট থেকেই সেটা তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এবার মিমি তাঁর প্রতিবাদের ভাষা ব্যক্ত করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। টুইটকে হাতিয়ার করে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী। এবার মিমির নিশানায় মার্কিন ফুড চেন সাবওয়ে।

মিমির অভিযোগ, গত ১৬ সেপ্টেম্বর শ্যুটিংয়ের সময় ইকো-স্পেসের সাবওয়ে আউটলেট থেকে খাবার অর্ডার করেছিলেন তিনি। তবে যখন সেই অর্ডার হাতে পান তা দেখে চোখ কপালে ওঠে অভিনেত্রীর। যে সাবমেরিন স্যান্ডউইচ তাঁকে ডেলিভারি করা হয়েছিল, তার উপর ছত্রাক জন্মে গিয়েছে। নিজের অভিযোগের প্রমাণ স্বরূপ বেশ কয়েটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মিমি। সঙ্গে মার্কিন ফুড চেন সাবওয়ের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের কপিও জুড়ে দেন।

টুইটারে মিমি জানান, “সাবওয়ে থেকে খাবার অর্ডার দেওয়ার আগে এখন থেকে দু-বার ভেবে দেখুন। ১৬ তারিখ আমি যখন শ্যুটিং করছিলাম তখন অর্ডার দেওয়ার পর এই খাবার আমাকে ডেলিভারি করা হয়। ইকো-স্পেস কলকাতার সাবওয়ে থেকে অর্ডার দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এখানে স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয়”।

তবে ঘটনার পর চুপ থাকার পাত্রী নন মিমি। পুরো বিষয়টি তথ্য সহকারে বিস্তারিত ভাবে কলকাতা পুরসভার খাদ্য দফতরকে জানিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। খাবারটির নমুনা, বিলসহ ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার খাদ্য দফতরে পৌঁছে দেওয়ার পর সমাজের কাছে মিমির বার্তা, “আমি সবসময়ই অন্যায়ের প্রতিবাদ করি, তোমার একার আওয়াজ অনেকখানি পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।”

অন্যদিকে, সাবওয়েকে উদ্দেশ্য করে কড়া টুইটে মিমি লেখেন, “কতদিন ধরে এইভাবে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের পরোয়া না করে পচা খাবার বিক্রি করছেন আপনারা? কাস্টমারদের জন্যই তো আপনাদের এই সাম্রাজ্য।”

উল্লেখ্য, মার্কিন ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁ সাবওয়ে বিশ্বের বৃহত্তম একটি ব্র্যান্ড রেস্টুরেন্ট চেইন এবং বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম রেস্টুরেন্ট অপারেটর হিসেবেই পরিচিত। এইরকম নামী ফুড চেইনের খাবার নিয়ে এমন অবহেলা দেখে হতবাক নেটিজেনরাও। মিমির ঘটনা চোখে পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের আওয়াজ, এই সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।

আরও পড়ুন-সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে কটূক্তি, ধৃত ট্যাক্সিচালক

Previous articleবিজিবি বিএসএফ সম্মেলনে সীমান্তে হত্যা বন্ধের আশ্বাস
Next articleশঙ্খ বাজিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নামে জয়ধ্বনি দিয়ে রাজ্যজুড়ে মিছিল সনাতন ব্রাহ্মণ সমাজের