শঙ্খ বাজিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নামে জয়ধ্বনি দিয়ে রাজ্যজুড়ে মিছিল সনাতন ব্রাহ্মণ সমাজের

ইমাম-মোয়াজ্জেমদের পর পুরোহিতদের জন্যে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের গরিব পুরোহিত, দরিদ্র সনাতনী ব্রাহ্মণ, হয়তো সারা বছর খুব বেশি পুজো পান না, আর্থিক সমস্যায় রয়েছেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখে পুরোহিত ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত ৮ হাজার পুরোহিতের যে তালিকা রাজ্য সরকার পেয়েছে, তাঁদের মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, যাঁদের বাড়ি নেই তাঁদের বাংলার আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে বিজেপি-সহ বিরোধীরা সমালোচনার ঝড় তুললেও তাঁকে দু’হাত ভোরে আশীর্বাদ করছেন সনাতন ব্রাহ্মণ সমাজ। শুধু তাই নয়, রাজ্যজুড়ে “ধন্যবাদ জ্ঞাপন” কর্মসূচী নিলেন পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সদস্যরা।

আজ, শনিবার বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা ও কোতলপুরে এই সংগঠনের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে “ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন” মিছিল করলেন। শঙ্খ বাজিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নামে জয়ধ্বনি দিয়ে রাজ্যজুড়ে মিছিল সনাতন ব্রাহ্মণ সমাজের।

বাঁকুড়ার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদাতেও মিছিল হয়। মেচেদায় রাজ্য অফিস থেকে পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের রাজ্য সম্পাদক শিধর মিশ্রের নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন কর্মসূচি পালন করেন। আবির মেখে মিষ্টিমুখ করে ঘন্টা-শঙ্খ বাজিয়ে মেচেদায় একটি অভিনন্দন মিছিল বের করেন তাঁরা।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট তমলুক-১ ব্লক কমিটির উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদজ্ঞাপন মিছিল তমলুক ব্লকের রাধামণি হাইরোড থেকে রাধামনি বাজার পর্যন্ত হয়। শনিবার এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন রাজ্য কমিটির সদস্য তথা তমলুক ব্লকের পর্যবেক্ষক দেবপ্রসাদ মহাপাত্র-সহ অন্যান্যরা।

রাজ্য সরকারের এই ধরনের ঘোষনায় দারুণ খুশি ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের মানুষজন। ঠিক একইভাবে মুখ্যমন্ত্রীর এমন মানবিক সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি এমন মহান উদ্যোগের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, পুজোর আগে থেকেই যাতে এই পুরোহিত ভাতা শুরু করা যেতে পারে, তা রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে দেখে নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া সনাতন ধর্মের অনেকেই অনুরোধ করেছেন, তাঁদের জন্য তীর্থস্থান গড়ে দেওয়ার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তীর্থস্থানের জন্য কোলাঘাটে জমি চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

আরও পড়ুন-পুরোহিতদের ভাতা ঘোষণার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি

Previous articleপচা খাবার পরিবেশন! পুরসভায় অভিযোগ দায়ের করে ফের গর্জে উঠলেন মিমি
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ