পাঞ্জাবকে রুদ্ধশ্বাস  ম্যাচে দিল্লি হারাল সুপার ওভারে

সংক্ষিপ্ত স্কোর:- দিল্লি: ১৫৭/৮ (২০ ওভার), পঞ্জাব: ১৫৭/৮ (২০ ওভার)।

সুপার ওভারের স্কোর:- পঞ্জাব: ২/২ (০.৩ ওভার), দিল্লি: ৩/০ (০.২ ওভার)।

আইপিএলে টার্গেট ১৫৭ এমন বড় কোনও স্কোর নয়। তবে এই রান নিয়েও বাজিমাত করল দিল্লি। পাঞ্জাবকে আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে দিল্লি হারাল সুপার ওভারে। লোকেশ রাহুলদের বিরুদ্ধে কার্যত হারা ম্যাচে দিল্লি জয় ছিনিয়ে নেয় বলা চলে। কেননা, ম্যাচের ভাগ্য পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকলেও একসময় জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল পাঞ্জাব।মায়াঙ্ক আগরওয়াল একাই দিল্লির হাত থেকে ম্যাচ বার করে নিয়ে যাওয়ার উপক্রম করেছিলেন। তবে ব্যাট হাতে যেমন ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনই বল হাতেও মার্কাস স্টইনিস ম্যাজিক দেখান শেষ ওভারে। শেষ দু’বলে দুটি উইকেট নিয়ে ম্যাচ টাই করেন তিনি।
সুপার ওভারে কাগিসো রাবাদা পর পর দু’টি উইকেট নিয়ে দিল্লির জয়ের রাস্তা পরিস্কার করে দেন। শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে ব্যাট করতে নেমে ঋষভ পন্ত আইপিএলের প্রথম ম্যাচে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
প্রথমে ব্যাট করত নেমে দিল্লি একসময় ১৭ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১০০ রান তুলেছিল। সেখান থেকে স্টইনিসের ২১ বলে ৫৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে ক্যাপিটালস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৭ রান তোলে। প্রথম ম্যাচেই শামি ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পঞ্জাব শুরু থেকেই নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে। একা মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৮৯ রান করে কিংস ইলেভেনকে জয়ের দোরগোড়ায় এনে ফেলেন। জয়ের জন্য শেষ তিন বলে ১ রান দরকার ছিল রোকেশ রাহুলদের। স্টইনিসের একটি বল ডট হয়। পরের দু’টি বলে যথাক্রমে আউট হন মায়াঙ্ক ও জর্ডন।
ম্যাচ টাই হওয়ায় ফলাফল নির্ধারণের জন্য লড়াই গড়ায় সুপার ওভারে।
প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ২ রানেই ২ উইকেট হারায় পাঞ্জাব। এরপর কোনও উইকেট না হারিয়েই ৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে নিল দিল্লি।

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleকৃষি বিলের বিরোধিতা: বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড ডেরেক, দোলা-সহ আট সাংসদ