সার্বিক সংস্কার ছাড়া আত্মবিশ্বাসের সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে রাষ্ট্রসংঘ। ৭৫ তম বার্ষিকীতে রাষ্ট্রসংঘের ‘আত্মবিশ্বাসের সঙ্কট’ প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার, রাষ্ট্রসংঘের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বিক সংস্কার ছাড়া রাষ্ট্রসংঘ আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগবে৷ সেক্ষেত্রে বর্তমান ও ভবিষ্যতে সমস্ত পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হলে সংস্কার প্রয়োজন।

এদিন রাষ্ট্রসংঘের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদি বলেন, পুরোনো কাঠামো নিয়ে আজকের দিনে কাজ করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সার্বিক সংস্কার না হলে রাষ্ট্রসংঘ বারবার আত্মবিশ্বাসের সঙ্কটের মুখে পড়বে।

এই সংস্কারের জন্য সব দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটি দেশের জন্য একযোগে কাজ করতে ভারত প্রস্তুত। অনেক কিছু পাওয়ার পরেও, মূল লক্ষ্য অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মোদি।

পরবর্তী দশ বছরের জন্য তালিকাভুক্ত লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে গ্রহ ও পরিবেশের সুরক্ষা, শান্তি, বৈষম্য হ্রাস, মহিলা ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার এবং মজবুত অর্থনীতি। বর্তমানের বাস্তবিকতা ধরার জন্য প্রয়োজন বহুপাক্ষিক সংস্কার।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার জন্য অনেকদিন ধরেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। ভারত সহ বহু দেশই এই স্থায়ী সদস্যপদের প্রক্রিয়া নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সংস্কার বিরোধী মনোভাবকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে আগে। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এই সংস্কারের ডাকের মধ্যে দিয়েই ভারত কার্যত এই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল।

করোনা পরিস্থিতিতে এ বছরই প্রথম ভার্চুয়ায়ল বৈঠক করেন ১৯৩ জন সদস্য। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের একদিনের উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের মূল ভাবনা ছিল ‘দ্য ফিউচার উই ওয়ান্ট, দ্য ইউএন উই নিড’। বর্তমান সময়ে করোনাভাইরাস, উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসন নীতি, ভারত-চিন অশান্ত সীমান্ত, সিরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন, ব্রেক্সিট- মিলিয়ে বিশ্বের সব রাষ্ট্রই কোনও না কোনও সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২০ সালে ৭৫ বছরে পদাপর্ণ করল রাষ্ট্রসংঘ।

আরও পড়ুন-অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় কাটছাঁট, বিল পাশ রাজ্যসভায়
