সুশান্ত বেঁচে থাকলে ঠাঁই হতো জেলেই, জামিনের আবেদনে দাবি রিয়ার

“সুশান্ত বেঁচে থাকলে ওঁর বিরুদ্ধেও ড্রাগ নেওয়ার অভিযোগ উঠতো৷ ওকেও জেলে যেতে হতো।”

বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আর্জিতে এমন কথাই বলেছেন রিয়া চক্রবর্তী। এখানেই শেষ নয়৷ রিয়া বলেছেন, “সুশান্তের বাড়ির লোকেরা ওর ডিপ্রেশনের কথা জানত। তাও ওর দিদিরা আদরের ভাইকে ফেলে চলে গিয়েছিল। লোকে এখন আমাকেই ডাইনি বলছে। আমার ‘অওকাত’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। কিন্তু সুশান্ত তাঁর নিজের ড্রাগের অভ্যেস বজায় রাখতে আমাদের দিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে”৷

ঠিক এভাবেই সুশান্ত রাজপুতের দিকেই আঙুল তুলেছেন রিয়া চক্রবর্তী। তিনি এখন বাইকুলা সংশোধনাগারেই রয়েছেন৷ আপাতত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর জেল-হাজত চলবে। গত ৮ সেপ্টেম্বর NCB গ্রেফতার করে রিয়া চক্রবর্তীকে। মাদক যোগে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১৮ জনকে।

আরও পড়ুন- অমিত-দিলীপ বৈঠক আগামী সপ্তাহে, পুজোর আগেই একুশের রোড ম্যাপ

রিয়া ও শৌভিকের আইনজীবী সতীশ মানশিন্দে বম্বে হাইকোর্টে দুই ভাইবোনের জামিনের আবেদন করেছেন। বুধবার খুব বেশি বৃষ্টি থাকায় সেই শুনানি হয়নি। আজ, বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে৷

জামিনের আর্জিতে রিয়া জানিয়েছেন, সুশান্ত আমার ভাইকেও সুযোগ পেয়ে ব্যবহার করেছে। প্রায়ই সুশান্ত নীরজকে
অর্ডার করত ওঁর জন্য গাঁজা বানিয়ে রাখার জন্য। মৃত্যুর ৩ দিন আগেও সুশান্তের নির্দেশে একটি বাক্সে গাঁজা ভরে রেখেছিল নীরজ। ওঁর মৃত্যুর পর বেডরুম থেকেই সেই খালি বাক্স পাওয়া যায়। এর থেকেই বোঝা যায়, নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কীভাবে ও সবাইকে ব্যবহার করতো”।

রিয়া আরও বলেছেন, “সুশান্ত নিজেই যে শুধু ড্রাগ নিতেন এমন নয়। বাড়ির বাকি সদস্যদেরও মাদক সংগ্রহ করতো৷ তদন্তের স্বার্থে সুশান্ত বাদে বাকি সবার ফোনের কললিস্ট চেক করা হল। এর অর্থ কী ? সুশান্তকে মাদক সরবরাহের জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। অথচ সুশান্তের ফোন একবারও ঘেঁটে দেখা হল না। সুশান্তের কথামতো আমি মাদক কিনেছি। আমি নিজে কোনওদিন নিইনি। আমি তো কোনও অন্যায় করিনি। বড় দাদার মতো শৌভিকের সঙ্গে মিশত সুশান্ত। ওঁদের দুজনের পছন্দ একই রকম ছিল। বুদ্ধি করে আমার ভাইকেও ব্যবহার করে নিলো”।

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleভোররাতে বিস্ফোরণ, সুরাতের ONGC প্ল্যান্টে ভয়াবহ আগুন