Saturday, May 3, 2025

অনুমতি নেই, তাই বাংলাদেশে আটকে আছে অ্যান্টিজেন টেস্টের উদ্যোগ

Date:

অতিমারির সংক্রমণ রোধে শেখ হাসিনা সরকার দেশে দ্রুততম সময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তে অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমোদন দিলেও এটি চালুর বিষয়ে এখনও নেওয়া হয়নি তেমন কোনও উদ্যোগ। ক’টি এবং কোন কোন হাসপাতাল এ পরীক্ষা করার জন্য ছাড়পত্র পাবে এখনও পর্যন্ত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদফতর। নির্ধারণ হয়নি এ পরীক্ষার ফিও। ফলে কবে নাগাদ অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা সম্ভব হবে- তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদউদ্দিন মিঞা বলেন, মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলেও এখন পর্যন্ত অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা সম্ভব হয়নি। কোথায় কোথায় এ টেস্ট হবে, ফি কত টাকা হবে- ইত্যাদি বিষয় এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ নিয়ে অধিদফতরের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপেক্ষাকৃত কম খরচে দ্রুততম সময়ে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে অধিক সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্তের লক্ষ্যে অ্যান্টিজেন টেস্ট দ্রুত চালু করা উচিত। কারণ এ পদ্ধতিতে পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত রোগী শনাক্ত করা যাবে। এতে কম সময়ের মধ্যে রোগীকে কোয়ারেন্টাইন করা, তার সংস্পর্শে আসা সকলকে আইসোলেশনে রাখা সম্ভব হবে। ফলে হ্রাস পাবে করোনার সংক্রমণ। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাঃ মোশতাক হোসেন বলেন, অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম খরচে ও কম সময়ে অধিক সংখ্যক পরীক্ষা করা যায়। এর জন্য এ টেস্টটি দ্রুত চালু করা উচিৎ।

বিশেষ করে যেসব এলাকায় অধিক সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে সেসব এলাকায় এ টেস্ট অধিক কার্যকর হবে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডা. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে- সারাদেশে অ্যান্টিজেন টেস্টের চাহিদার প্রেক্ষিতে অতি অল্প সময়ে করোনা শনাক্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রস্তাবনা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অন্তর্বর্তীকালীন গাইডেন্স অনুসরণ করে দেশের সকল সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, সরকারি পিসিআর ল্যাব এবং সকল স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে অ্যান্টিজেনভিত্তিক টেস্ট চালুর অনুমতি প্রদান করা হয়।

তবে শর্ত ছিল, যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদফতরে প্রক্রিয়াধীন কোভিড-১৯ ল্যাব সম্প্রসারণ নীতিমালাটি চূড়ান্ত হলে তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। অ্যান্টিজেন টেস্ট মূলত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এবং শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য ভাইরাস শনাক্তের জন্য ব্যবহার করা হয়।

এই টেস্টের মাধ্যমে বিশেষ ভাইরাল অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়, যা আসলে ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে পিসিআর পদ্ধতিতে খুব অল্প পরিমাণ ভাইরাসও শনাক্ত করা সম্ভব। কারণ এটি ভাইরাসকে বৃদ্ধি করে বা অ্যাম্পলিফাই করে তাকে শনাক্ত করে। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে ভাইরাসের ছোট একটা অংশ বা নিউক্লিয়িক অ্যাসিড থাকলেও সেটি শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে সেটি সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ভাইরাসকে অ্যাম্পলিফাই করে না। এই টেস্টের মাধ্যমে শুধু ভাইরাসের উপস্থিতি জানা যায়। তবে পিসিআর টেস্টের তুলনায় অ্যান্টিজেনে খরচ ও সময় অনেক কম লাগে।

আরও পড়ুন- মুসলমান পরিবারের সন্তান দুর্গাপুজো নিয়ে মেতেছেন? মীরকে নিশানা মৌলবাদীদের

Related articles

নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ! অভিযুক্তকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল জলপাইগুড়ি আদালত 

নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় এক যুবককে ২০ বছরের কঠোর কারাদণ্ড দিল জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত। শনিবার এই রায় ঘোষণা...

দিলীপ ঘোষকে কালো পতাকা দেখিয়ে অভ্যাস! দলবদলু বিজেপি নেতাদের তীব্র খোঁচা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির

দিলীপ ঘোষকে কালো পতাকা দেখিয়ে অভ্যাস। দলবদলু বিজেপি নেতারা এখনও সেই অভ্যাস ছাড়তে পারেননি। দিঘার জন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনে...

মাধ্যমিকের মতো মাদ্রাসাতেও! কন্যাশ্রীরাই সফল ফলাফলে

একটা সময় নারী শিক্ষায় রাজ্যের অবস্থান ছিল তলানিতে। আজও দেশের, বিশেষত উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে নারী শিক্ষার হার লজ্জাজনক।...

ফের অগ্নিকাণ্ড শহরে! এবার কেষ্টপুরের স্কুলে আগুন 

কলকাতায় একের পর এক আগুন লাগার ঘটনা আতঙ্কে ফেলেছে শহরবাসীকে। বড়বাজারের মেছুয়া এলাকার আগুন লাগার কয়েকদিনের মধ্যেই আবার...
Exit mobile version