বীরভূমের রাজনৈতিক নেতাকে খুনের সুপারি আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতীদের, টার্গেট কি অনুব্রত?

এবার ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি না দেওয়ায় জেলের ভিতরেই মারধরের অভিযোগ এক ISIS জঙ্গিকে!
প্রতীকী ছবি

বীরভূমের রাজনৈতিক নেতাকে খুনের চক্রান্ত করতে সুপারি আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতীদের। টার্গেট কি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল? এখন এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। সোমবার, বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক-সহ বীরভূম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতীদের। তাদেরই নাকি এই খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল। শান্তিনিকেতন থানার তালতোর এলাকা থেকে চারজন বাংলাদেশী-সহ দুজন স্থানীয় দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলার কোনো বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ‘খুন’ করার জন্য ওই দুষ্কৃতীদেরকে সুপারি কিলার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ শান্তিনিকেতন থানার তালতোর এলাকার একটি বাড়ি থেকে ছয়জনকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে চারজন হলেন বাংলাদেশের বাসিন্দা। দুইজন স্থানীয়।

তাদের জেরা করে নানুর এবং লাভপুর এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতীর খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।
৩ দিন আগে তাদেরকে আটক করে পুলিশ। যে বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে সেই বাড়িটি দুষ্কৃতীরা ভাড়া নিয়েছিল। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, জেলার এক বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে খুন করার জন্য সুপারি কিলার হিসেবে ওই দুষ্কৃতীদেরকে নিয়োগ করা হয়েছিল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বহু চর্চিত বীরভূম জেলাকে অস্থির করার জন্যই এই চক্রান্ত করা হয়েছিল। যে পরিমাণে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে তাতে তাদের সঙ্গে কোন জঙ্গি সংগঠনে যোগ আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে তদন্তের ভার রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে শুভকামনা মমতার

Previous articleসুশান্ত মৃত্যুর তদন্ত জারি আছে, বিবৃতি দিয়ে জানাল সিবিআই
Next articleরাজ্য বিজেপিতে দিলীপ ঘোষদের চাপে রাখতে কৌশলী চাল মুকুল রায় শিবিরের