Saturday, August 23, 2025

বাবরি ধ্বংস মামলার কালানুক্রম, ১৯৯২ – ২০২০

Date:

Share post:

◾১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়৷

◾ তদন্ত শেষ করে CBI চার্জশিট দেয়।

◾মোট ৩২ জন অভিযুক্ত। এছাড়া নামধামহীন আরও অসংখ্য করসেবক।

◾২৮ বছর মামলা চলেছে৷ অভিযুক্তদের মধ্যে ১৬ জন আগেই প্রয়াত।

◾সঙ্ঘ পরিবারের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে নাম আছে এই মামলায়, অভিযুক্ত হিসেবে৷ লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতীরাও আছেন।

◾উত্তরপ্রদেশে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ার, সাক্ষী মহারাজ, ভিএইচপি নেত্রী সাধ্বী ঋতম্ভরা এবং রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সভাপতি নৃত্য গোপাল দাস ও সম্পাদক চম্পত রাইয়ের নামও চার্জশিটে আছে।

◾সবমিলিয়ে ৪৮ জন অভিযুক্ত৷ মামলা চলাকালীন ১৬ জন মারা যান। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন, বিশ্বহিন্দুপরিষদ নেতা অশোক সিঙ্ঘল, গিরিরাজ কিশোর, বিষ্ণুহরি ডালমিয়া ও শিবসেনা সুপ্রিমো বাল ঠাকরে।

◾বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনার পর পুরোনো ফৈজাবাদ জেলায় পুলিস ২টি FIR করে।

◾একটিতে অজ্ঞাতপরিচয় লাখো করসেবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। লখনউয়ের আদালতে শুরু হয় মামলা।

◾দ্বিতীয় FIR-এ আদবানি, জোশী, উমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।
রায়বেরেলির আদালতে শুরু হয় মামলা।

◾তদন্ত শুরুর পর ১৯৯৩ সালের ২ অক্টোবর CBI মামলায় যৌথ চার্জশিট দেয়।

◾৪৮জন নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও মসজিদ ধ্বংসে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে।

◾বাবরি মসজিদ ভাঙার সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন আদবানি, যোশীরা। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ, সংঘর্ষে উস্কানি, ফৌজদারি ষড়যন্ত্র-সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হন তাঁরা।

◾২০০১ সালে আদবানি-সহ ১৪ জন নেতাকে, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে খালাস করে নিম্ন আদালত।

◾২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের নির্দেশ বহাল রেখে, আদবানিদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়।

◾২০১১ সালে CBI-এর এক আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়। আদবানি-সহ ১৪ জন নেতার বিরুদ্ধে ফিরে আসে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ।

◾সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই, লখনউয়ের CBI আদালতে করসেবক এবং আদবানিদের বিরুদ্ধে ২টি মামলার একসঙ্গে শুনানি শুরু হয়।

◾প্রায় তিন দশক পর গত ১ সেপ্টেম্বর শেষ হয় সেই শুনানি।

◾২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, নিয়মিত শুনানি করে ২ বছরের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে।

◾বারবার সেই সময়সীমা বাড়ানো হয়।

◾মামলা শেষ করতে লখনউয়ের আদালতের বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদবের অবসরের দিন পিছিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত।

◾লখনউয়ের আদালতে নিজেদের বয়ানে অভিযুক্তরা দাবি করেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্যই ষড়যন্ত্রে অভিযোগ আনা হয়।

◾করোনা পরিস্থিতিতে ভিডিও কনফারেন্সে সাক্ষ্য দেন আদবানি- যোশী।

◾উমা ভারতী, কল্যাণ সিং-রা সশরীরে হাজিরা দেন।

◾কল্যাণ সিং ছাড়া কেউই, নিজেদের নির্দোষ প্রমাণে কোনও নথি দেননি।

◾আদালতের বাইরে উমা ভারতী মন্তব্য করেছিলেন, মসজিদ ধ্বংসের জন্য ফাঁসি দেওয়া হলেও তিনি নিজেকে ধন্য মনে করবেন৷

◾আদবানি, যোশীরা সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও লিবেরহান কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, বাবরি ধ্বংস করার কাজ পূর্ব-পরিকল্পিত।

◾২০১৯-এর নভেম্বরে অযোধ্যায় রামমন্দিরের পক্ষেই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

◾ ওই রায়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, “আদালতের নির্দেশ অমান্য করে, বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসে ভাঙা হয় আইন। হিসাব কষেই নষ্ট করে দেওয়া হয় মানুষের উপাসনাস্থল।”

◾ বাবরি ধ্বংস মামলায় ৩৫০ জনের সাক্ষ্য নেয় নিম্ন আদালত। খতিয়ে দেখা হয় প্রায় ৬০০ নথি।

◾ইতিমধ্যেই কেটে গেছে তিন দশক।

◾বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় আজ, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০৷

◾আজকের রায়ের পর এই মামলা উচ্চ আদালতে গেলে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে আরও কতদিন লাগবে, সেই প্রশ্নই এখন বড়ভাবে দেখা দিয়েছে৷

আরও পড়ুন-৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২: এই রায় চূড়ান্ত নয়, কণাদ দাশগুপ্তর কলম

spot_img

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...