বাবরি রায়ের মাঝেই শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মামলার শুনানি আজ মথুরার কোর্টে

বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার সময় আদবানি, যোশীদের স্লোগান ছিলো, “এক ধাক্কা আউর দো, বাবরি মসজিদ তোড় দো”৷

সেই স্লোগানে অনুপ্রণিত হয়ে গৈরিক-বাহিনী হুমকি দিয়েছিলো, “অযোধ্যা তো স্রেফ ঝাঁকি হ্যায়, মথুরা-কাশী আভি বাকি হ্যায়”।

আরও পড়ুন- বাবরি রায় : আদবানি, যোশী, উমা’রা আজ কোর্টে যাচ্ছেন না, ওদিকে লিবেরহানের বোমা

এই স্লোগানের পথ ধরে ‘ঝাঁকি’ দিতেই আজ, বুধবার বাবরি- রায়ের দিনই মথুরার জেলা দেওয়ানি আদালতের বিচারক ছায়া শর্মার এজলাশে শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি জমি বিতর্ক মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে। কৃষ্ণ জন্মভূমির ১৩.৩৭ একর জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে যায় “শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান”।আবেদনে বলা হয়েছে, হিন্দু দেবোত্তর সম্পত্তি চিরকালই দেবোত্তর থাকে। আর যদি আক্রমণকারীদের হাত থেকে ওই সম্পত্তি উদ্ধার করা যায়, তবে তা নতুন করে তৈরিও করা যায়।
বিতর্কের কেন্দ্রে মথুরার কাটরা কেশবদেব মন্দির চত্বরের ১৩.৩৭ একর জমি। আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী বিষ্ণু জৈনের অভিযোগ, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির ওই মন্দির চত্বরেই ১৬৬৯-৭০ সালে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে একটি মসজিদ তৈরি হয়েছিল। মন্দির চত্বরের জমি থেকে সেই মসজিদ সরানোর দাবিতেই এই মামলা হয়েছে।
পাশাপাশি ১৯৬৮ সালের একটি রায় বাতিলের দাবিও জানানো হয়েছে। ১৯৬৮ সালে আদালতের রায়ের পর শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান ও শাহি ঈদগা ম্যানেজমেন্ট কমিটির মধ্যে জমি সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারেই ওই জমিতে মন্দির ও মসজিদের সহাবস্থান করছে। মথুরার আদালতে এই চুক্তি বাতিল করার নতুন এক আবেদন পেশ করেছেন লখনউয়ের বাসিন্দা রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী সহ মোট ৬জন। এদের কেউ-ই মথুরার বাসিন্দা নন। অখিল ভারতীয় তীর্থ পুরোহিত মহাসভা নামে পূজারিদের একটি সংগঠন এই ইস্যুতে নতুন করে মামলা দায়ের করার নিন্দা করেছে। এই পুরোহিত সংগঠনের জাতীয় সভাপতি তথা কংগ্রেস নেতা মহেশ পাঠক বলেছেন, মন্দির-মসজিদ বিতর্ক উস্কে দিয়ে মথুরার শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে একদল ‘বহিরাগত’। মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আগেই ঐকমত্য হয়েছিল। ফলে সেখানে মন্দির-মসজিদ নিয়ে কোনও বিতর্কই নেই। মন্দির-মসজিদ সহাবস্থানের উদাহরণ হল মথুরা।

Previous articleবাবরি রায় : আদবানি, যোশী, উমা’রা আজ কোর্টে যাচ্ছেন না, ওদিকে লিবেরহানের বোমা
Next articleএবার করোনা আক্রান্ত অভিনেতা সোহম