
আর এক অকথিত কাহিনিময় কালীমন্দির

বজবজ গিয়েছিলাম আমার MPLAD FUND থেকে বরাদ্দ করা টাকায় বজবজ স্পোর্টস অ্যাকাডেমির নতুন ভবন ও পরিকাঠামোর উন্নয়নে।
সেই পর্ব শেষের পর স্থানীয় নাগরিক সুব্রত ঘোষ, অভিজিৎ দাস, তাপস ঘোষরা বললেন, কাছেই গঙ্গার ধারে ঐতিহ্যময় কালীমন্দির। যাওয়ার কথা বললেন তাঁরা।
অতঃপর গেলাম।
গঙ্গার একেবারে কোলে অপূর্ব মন্দির।
কাহিনিও নাটকীয়। এই প্রতিমা বর্ধমানের। একদল ডাকাত ডাকাতি করে জলপথে ফিরছিল। প্রতিমাটিও সেখান থেকে আনা। এখানে গঙ্গার ধারে বিশ্রাম। সেই সময় মা তাদের স্বপ্নে এসে বলেন এখানেই থাকতে চান। আর কোথাও যাবেন না। ডাকাতরা মাতৃমূর্তি রেখে চলে যায়। পরে তাকে ঘিরেই মন্দির। সেই পাথরের প্রতিমাই আছেন।

চিত্রগঞ্জ মন্দির। আগে গঞ্জ ছিল এখানে। মায়ের নাম ব্রহ্মময়ী। কিন্তু এলাকায় আদরের ডাকনাম “খুকুমা”।

মূর্তিও আলাদা ধরণের। কথিত, পাঁচটি নরমুণ্ড রাখা বেদিতে প্রতিষ্ঠিত মা। মায়ের পায়ের নীচে মহাদেব নেই।
এই মা-ই পূজিত হয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।

কালীমূর্তিই মূল আকর্ষণ। তবে সময়ের সঙ্গে বিরাট চত্বরের নানা প্রান্তে যোগ হয়েছেন রাধাকৃষ্ণ, গণেশ, মা মনসা, জগন্নাথদেব।
গঙ্গার একেবারে কোলেই মন্দির। মন্দিরের ভেতর থেকেই নামলাম জলস্পর্শ করতে।
একটু দূরেই সেই ঐতিহাসিক জায়গা। শিকাগো জয় করে ফিরে স্বামী বিবেকানন্দ জাহাজ থেকে পা রেখেছিলেন বজবজের মাটিতে। পরদিন ট্রেনে শিয়ালদা।

অপূর্ব ঐতিহাসিক ধারাভাষ্য শোনাচ্ছিলেন অভিজিৎ দাস, শুভময় ঘোষরা।
সেই সময় অঝোর বৃষ্টি।
মন্দির চত্বরেই কাটল দীর্ঘসময়।

শ্রীমান সোমনাথ এবং শ্রীমান দেবস্মিত বিশ্ব বাংলা সংবাদের জন্য শ্যুটিং করেছে। ফেসবুক পেজ এবং ইউ টিউব চ্যানেলে ভিডিও প্রতিবেদনটি দেবে সকলের জন্য।
এপাশে মাতৃমূর্তি। ওপাশে বৃষ্টিতে ঝাপসা গঙ্গা। তার মধ্যে পুরোহিতের মন্ত্র ও ঘন্টাধ্বনি।
মন ভরে গেল।
জয় মা।

আরও পড়ুন- গুরুতর অসুস্থ, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ফুটবল জাদুকর মজিদ বাসকর
