এবার যোগী সরকারের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ নবনীত

এক সময়ে বিরোধীদের ঘনিষ্ঠ বলে যে আমলাকে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছিল, হাথরাসের ঘটনায় মুখ রক্ষা করতে তাঁর উপরেই ভরসা করল যোগী সরকার। আর তিনি হলেন আইএএস অফিসার নবনীত সেহগল। এই নবনীত একসময় মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদবের সরকারের আস্থাভাজন আমলা ছিলেন। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। ১৯৮৮ ব্যাচের এই আইএএস অফিসারকে উপস্থিত বুদ্ধির জন্য অনেকেই ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ বলে ডাকেন। তাঁর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল ক্ষমতায় যেই আসুক না কেন, নবনীতের দায়বদ্ধতা শুধুমাত্র কুর্সির প্রতি।

হাথরাসের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং তার পুলিশের ভূমিকার সমালোচনায় সরব গোটা দেশ। এর প্রভাব বিহার নির্বাচনে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা গেরুয়া শিবিরের। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়নি বলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বিজেপির অন্দরেই। সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশের মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন দফতরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে যোগী আদিত্যনাথ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আইএএস অবনীশ অবস্থিকে। সেই জায়গাতেই নিয়ে আসা হয়েছে নবনীতকে। কারণ, যোগী সরকারের টালমাটাল অবস্থায় তিনি কাণ্ডারী হতে পারবেন বলে আশা পদ্ম শিবিরের। কারণ, কর্পোরেট এবং মিডিয়া দুই তরফের সঙ্গেই নবনীত সেহগলের সুসম্পর্ক। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে, বিশেষত দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সরকারের ওপর যে কালি লেগেছে সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই সেহগলকে দায়িত্ব দেওয়া হল বলে মত কূটনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মত মাফিয়ারাজ এরাজ্যে, মুখ ফসকে এ কী বললেন দিলীপ?

Previous articleকোভিডে আক্রান্ত কংগ্রেস সাংসদ ডালু, শঙ্কাজনক জানাল পিয়ারলেস
Next articleহাথরাস কাণ্ড: ‘ঘরের মেয়ে’র মর্মান্তিক পরিণতিতে কাঁদছে বার্নপুর