তৃণমূলে ফিরতে চাইছিলেন বলেই খুন মনীশ! দাবি ফিরহাদের

অর্জুন ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা মনীশ শুক্ল হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সরাসরি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, মনীশ শুক্ল বিজেপিতে অস্বস্তিতে ছিলেন। তাঁর তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা ছিল। সেই আক্রোশেই মনীশ শুক্লকে সরিয়ে দেওয়া হলো না তো? প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ।

“মনীশ শুক্ল হত্যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ঘটনার সত্য উদঘাটন হোক। আসল দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক। এবং তার জন্য রাজ্য পুলিশের ওপর সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ঘটনার সত্যতা সামনে আসুক”।এমনটাই বলেছেন ফিরহাদ হাকিম ।

এর পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিম আরও বেশকিছু প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সারাদিন অর্জুন সিং-এর সঙ্গেই ছিলেন মনীশ শুক্ল। এমনকি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের ফোন এলো, যার জন্য অর্জুনকে হঠাৎ কলকাতায় চলে আসতে হল। এবং মনীশ শুক্লর সিকিউরিটি সেই মুহূর্তে উপস্থিত ছিল না তাঁর সঙ্গে।আর তখনই ঘটে যায় এই ঘটনা। এর থেকে অনেক জিনিস স্পষ্ট হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম ।

এর পাশাপাশি বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বলেন, শার্প শুটার আগে কে নিয়ে এসেছিল তা আগে অর্জুন সিংকে একবার জিজ্ঞেস করে দেখা হোক। এই ঘটনার সত্যতা দ্রুত সামনে আসবে বলেও তিনি আশাবাদী। মনীশ শুক্লর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মন্ত্রী।

অন্যদিকে, অর্জুন সিং দলীয়দ্বন্দ্বের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমি তো শুনছিলাম আমিও নাকি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাচ্ছি। সব্যসাচী চলে যাচ্ছে। এবার বলছে মনীশ শুক্ল চলে যাচ্ছে। মেটিয়াব্রুজ থেকে গুন্ডা পাঠিয়ে খুন করা হয়েছে। এর ফল ভুগতে হবে। ওর যেদিন মন্ত্রিত্ব থাকবে না, সেদিন রাস্তায় পাবলিক ধরে পেটাবে ওকে।”

আরও পড়ুন-তফশিলি জাতি-উপজাতিদের এডুকেশন লোন, পড়ুয়াদের পাশে রাজ্য: মুখ্যমন্ত্রী

Previous articleবেঙ্গালুরুতে এবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন বাঙালিদের
Next articleবাইরে পড়তে যাও, কিন্তু বাংলাকে ভুলে যেও না: কৃতী পড়ুয়াদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর