নির্ভয়ার পর হাথরাস কাণ্ডে অভিযুক্তদের হয়ে আইনি লড়াইয়ে এপি সিং

সাত বছরের বেশি সময় ধরে নির্ভয়া কাণ্ডে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ধর্ষকদের বাঁচাতে পারেননি তাদের আইনজীবী এপি সিং। চলতি বছর মার্চে ফাঁসি হয় ধর্ষকদের। সেই এপি সিং এবার হাথরস কাণ্ডের অভিযুক্ত ধর্ষকদের হয়ে আইনি পথে লড়বেন।

নির্ভয়া কাণ্ডের সময় একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এই আইনজীবী। এমন কথাও বলেছিলেন যে, ‘‘অত রাতে কেন বাসে একজন মহিলা তাঁর পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে ফিরছিলেন?‌ আমার মেয়ের হলে, আমি নিজেই তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলতাম।’’ উচ্চবর্ণ সম্প্রদায়ের সংগঠন অখিল ভারতীয় ক্ষত্রিয় মহাসভার তরফে এই আইনজীবীকে নিযুক্ত করা হয়েছে। আইনজীবী এপি সিং একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ওই সংগঠন চাঁদা তুলে তাঁর পারিশ্রমিক জোগাড় করেছে। অন্যদিকে নির্ভয়ার আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, এই ঘটনায় আইনি লড়াই লড়বেন।

নির্ভয়া কাণ্ডের পর মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশ। গত এক সপ্তাহ ধরে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিভিন্ন মহল। হাথরাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এমনকী প্রাথমিকভাবে ঢুকতে দেওয়া হয়নি সংবাদমাধ্যমকে। শেষ পর্যন্ত মাথা নত করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এদিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবি ধর্ষণ হয়নি। গত বৃহস্পতিবার এডিজি প্রশান্ত কুমার বলেন, তরুণীর ভিসেরার নমুনায় কোনও শুক্রাণু মেলেনি। তাই ধর্ষণ হয়েছে বলা যাবে না। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ধর্ষণের ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। কিন্তু হাথরাসের ঘটনায় তা মানা হয়নি। যেদিন ধর্ষণ হয়েছিল তার ১১ দিন ফরেনসিক নমুনা গবেষণাগারে পৌঁছয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন:শীর্ষ আদালতে পৌঁছে গেলো হাথরাস-কাণ্ড, দায়ের হলো দু’টি তাৎপর্যপূর্ণ মামলা

Previous articleপালিয়ে বিয়ে করলে মিলবে তো ‘রূপশ্রী’-র টাকা? প্রশ্ন নিয়ে হাজির দফতরে
Next articleকরোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়