মাদক মামলায় বম্বে হাইকোর্টে জামিন পেলেন রিয়া চক্রবর্তী

মাদক মামলায় নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে গ্রেফতার হওয়ার প্রায় এক মাস পর বম্বে হাইকোর্টে জামিন পেলেন রিয়া চক্রবর্তী। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি কোটিয়াল এই জামিনের রায় ঘোষণা করেন। অবশ্য রিয়া জামিন পেলেও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন বিচারপতি। রিয়ার জামিন মঞ্জুর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁর আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে।

বলিউডের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই অভিনেতার পরিবার ও একাংশের সংবাদমাধ্যম কাঠগড়ায় তোলে অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপ, প্রতারণা এমনকি অভিনেতাকে ড্রাগ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ তোলে সুশান্তর পরিবার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। সুশান্ত মৃত্যু মামলায় সিবিআই ও ইডি রিয়াকে বারবার বহু ঘণ্টা জেরা করেও এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগের সারবত্তা খুঁজে পায়নি। এরপর আসরে নামে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। প্রয়াত অভিনেতা ড্রাগ আসক্ত ছিলেন, এমন প্রমাণ পাওয়ার পর তাঁকে বেআইনি ড্রাগ সরবরাহের অভিযোগে রিয়া সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এনসিবি। এক্ষেত্রে তাঁদের হাতিয়ার ছিল রিয়ার মোবাইল ফোনের কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। রিয়ার কাছ থেকে কোনও মাদক পাওয়া না গেলেও তার বিরুদ্ধে এনসিবি যে কঠোর ধারা প্রয়োগ করেছে তা সাধারণত আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধেই দেওয়া হয়ে থাকে। শুরু থেকেই রিয়ার বিরুদ্ধে আইনের অপব্যবহার, ভুল ধারা প্রয়োগ ও বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তদন্ত চালানোর অভিযোগ এনেছিলেন আইনজীবী মানশিণ্ডে। নিম্ন আদালতে জামিন খারিজ হলেও হাইকোর্ট শেষ পর্যন্ত রিয়া চক্রবর্তীর জামিন মঞ্জুর করল। রিয়াকে তাঁর পাসপোর্ট ও ১ লক্ষ টাকার বণ্ড জমা দিতে হবে। তদন্তকারীদের অনুমতি ছাড়া তিনি মুম্বইয়ের বাইরে যেতে পারবেন না। এই রায় নিয়ে আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডের প্রতিক্রিয়া: সিবিআই, ইডি ও এনসিবি রিয়ার বিরুদ্ধে যে ডাইনি খোঁজার কায়দায় হেনস্থা শুরু করেছিল তা বন্ধ হওয়া উচিত। যা সত্য, তা সবসময় একই থাকে, বদলায় না। প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হোক। বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা আছে। সত্যমেব জয়তে।

আরও পড়ুন-SBI-এর নতুন চেয়ারম্যান দীনেশ কুমার খারা