জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নথিবদ্ধ থাকবে ডিজিটাল অ্যাপে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার উপভোক্তার কাছে মেসেজের মাধ্যমে একটি লিঙ্ক পাঠানো হবে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করেই নিজেদের প্রপার্টি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন তাঁরা। পরবর্তীকালে বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলি মানুষের হাতে প্রপার্টি কার্ড তুলে দেবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও জানানো হয়েছে, ছ’টি রাজ্যের ৭৬৩ টি গ্রামের বাসিন্দারা প্রাথমিকভাবে এই প্রপার্টি কার্ডের সুবিধা পাবেন। তার মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ৩৪৬, হরিয়ানার ২২১, মহারাষ্ট্রের ১০০, মধ্যপ্রদেশের ৪৪, উত্তরাখণ্ডের ৫০ ও কর্নাটকের ২টি গ্রামের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।
গ্রামীণ ভারতের ছবি বদলে দেবে ‘স্বামীত্ব যোজনা’, দাবি মোদির ।প্রতিটি গ্রামকে স্বনির্ভর করতে স্বামীত্ব যোজনা প্রকল্পের আওতায় আজ রবিবার প্রপার্টি কার্ড চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের সূচনা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এই যোজনার ফলে গ্রামবাসীরা তাদের জমি ও সম্পত্তির মালিকানা থেকে বঞ্চিত হবেন না। গ্রামে গ্রামে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ ঘুচবে। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রামীণ ভারতের ছবি বদলে দেবে বলেই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।


এদিনের উদ্বোধনের পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের জমি ও সম্পত্তি অর্থনৈতিক লগ্নী হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে লোন নেওয়া ও অন্যান্য অর্থনৈতিক সুবিধা পাবেন তাঁরা।প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার উপভোক্তার কাছে মেসেজের মাধ্যমে একটি লিঙ্ক পাঠানো হবে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করেই নিজেদের প্রপার্টি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন তাঁরা। পরবর্তীকালে বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলি মানুষের হাতে প্রপার্টি কার্ড তুলে দেবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- মহামারি আবহে উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাস কমানোর প্রস্তাব শিক্ষা সংসদের


স্বামীত্ব যোজনার আওতায় আসবে ৬ লক্ষ ৬২ হাজার গ্রাম। ডিজিটাল ভারতে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাকেও পুরোদস্তুর ডিজিটাল সুযোগসুবিধার আওতায় আনতেই এই স্বামীত্ব যোজনা প্রকল্পের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রামোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা নিতে চলেছে এই যোজনা। এই উদ্যোগে গ্রামের জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত মালিকানা নিয়ে ঝামেলা ঝঞ্ঝাট থাকবে না। ড্রোনের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের জমি ম্যাপিং করা হবে। জিপিএস ম্যাপিংয়ে সম্পত্তির খতিয়ান তৈরি হবে। এর ভিত্তিতেই কোন পরিবারের সম্পত্তি কতটুকু সেটা নির্ধারণ করা হবে।

Previous articleরুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে জয়ে ফিরল রয়্যালস
Next articleপুরনো লবিই সঙ্গে নিয়ে ঘুরছেন মুকুল, চর্চা বিজেপিতে