রাজ্যে ৩৫৬ চেয়ে হাসির খোরাক হলেন বাবুল সুপ্রিয়

হাসির খোরাক হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পশ্চিমবঙ্গে জরুরি অবস্থা জারির দাবি জানিয়ে বসলেন রবিবার!

দীর্ঘ সাত মাস পরে নিজের কেন্দ্র আসানসোলে ফিরেছিলেন। কোভিড ছিল যে! কিন্তু কোনও খবরে আসেননি। অথচ খবরে না থাকলে রাজভবনের সম্মানীয় ব্যক্তিটির মতো তাঁরও আজকাল উইথড্রল সিন্ড্রোম হয়। তাই ফিরে গিয়েই বলে বসলেন বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারি করার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কারণ কী? এক, মণীশ শুক্লা নামে এক বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে। যার বিরুদ্ধে নয় নয় করে এক ডজন মামলা রয়েছে। আর দুই, আল কায়েদা জঙ্গিদের এ রাজ্য থেকে ধরা হয়েছে। এটা আসলে জঙ্গিদের ডেন! এই দুই ঘটনাই নাকি ৩৫৬ ধারা জারির পক্ষে যথেষ্ট!

পাল্টা এবং যথাযথ ভাবেই অধ্যাপক এবং তৃণমূল সাংসদ সৌগত বন্দ্যোপাধ্যায় জবাব দিয়েছেন। তিনি কী বললেন?

১. বাবুল গান-বাজনা করতেন। এতসব রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কথা ওর জানার কথা নয়। ওকে দোষ দিই না।

২. ৩৫৬ ধারার আগে ৩৫৫ ধারা আছে। সেই ধারাকে আগে স্যাটিসফাই করতে হয়। সেটা ওর জেনে নেওয়া উচিত।

৩. একটা মণীশ খুনের জন্য যদি রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির প্রশ্ন ওঠে, তাহলে বলতে হয়, এক বাহুবলী ৮ পুলিশ কর্মীকে মেরেছিল উত্তরপ্রদেশে। আবার অপরাধীরা যাতে পর্দার আড়ালের মানুষগুলোর নাম না বলে দেয়, তারজন্য অপরাধীদেরও খুন করা হলো। তাহলে তো যোগীর রাজ্যে তিনবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত!

৪. আল কায়দা জঙ্গি রাজ্যে ধরা পড়েছে। তারা এলো কোথা দিয়ে? সীমান্ত পেরিয়ে। সেই সীমান্তের পাহারাদার কে? বিএসএফ। বিএসএফ কাদের দায়িত্বে? কেন্দ্রের। তাহলে কেন্দ্রের বাহিনী কি জেগে ঘুমোচ্ছিল? নাকি ওদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যকে বদনাম করার উদ্দেশ্য নিয়ে?

রবিবারের ছুটির দিনে বেশ হাসির খোরাক হয়েছেন আসানসোলের সাংসদ। যে দাবি রাজ্য বিজেপি সভাপতি তোলেননি, অমিত শাহ তোলেননি, নরেন্দ্র মোদি তোলেননি, সেই দাবি তুলে বাবুল বুঝিয়ে দিলেন তিনি এখনও রাজনীতিতে ‘নভিশ’ই। বহু পথ পেরোতে হবে। ওর বরং গাওয়া উচিত সুমনের সেই গান, ‘কতোটা পথ পেরলে তবে…’।

আরও পড়ুন:দিলীপ ব্যস্ত জেলায়, কেন্দ্রীয় নেতারা রাজভবনে ব্যস্ত ছবি তুলতে

Previous articleবিক্রমের তাল-ছন্দে এবার নতুন রূপে ‘বড় লোকের বিটি লো’
Next articleএবার ঝাড়খন্ড, বন্ধুর কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণ