নামেই শান্তি-আলোচনা, গোপনে সীমান্তে দিল্লি বিরোধী রণকৌশল সাজাচ্ছে চিন

উত্তর-পূর্ব লাদাখে চিনের আগ্রাসন নীতির জেরে ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্ক। যেকোনও রকম পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্মুখ সমরে যেতে প্রস্তুত দুই দেশের সেনাবাহিনী। এমনই অবস্থান মাঝে সোমবার ভারত ও চিনের মধ্যে সপ্তম দফার সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনা চলছে। যদিও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে কোনও রকম সহযোগিতার হাত বাড়াতে রাজি নয় চিন। দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনা চললেও প্যাংগং লেকের উত্তর উপকূলে যথেষ্ট তৎপর রয়েছে চিন সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ছাড়িয়ে ভারতের দিকে আরও বেশি এগিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ফলস্বরূপ এটা সহজেই অনুমেয় যে সীমান্তে অচলাবস্থা থামানোর পরিবর্তে জিইয়ে রাখতেই বেশি তৎপর শি জিনপিং প্রশাসন।

ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন তো বটেই, ফিঙ্গার পয়েন্টে ও প্যাংগং লেকের উত্তরে সেনার মনোবল বাড়াতে অতিরিক্ত ব্রিগেড মোতায়েন করেছে চিন। শুধু তাই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্র এলাকায় আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়টিকে মাথায় রেখে ক্রমাগতভাবে সেনাবাহিনী বদল করে চলেছে তারা। রোটেশন পদ্ধতিতে চলছে সেনার ডিউটি। সবমিলিয়ে এটা বেশ স্পষ্ট যে শীতের মরশুমেও এলএসিতে নিজেদের অবস্থান বদল করতে বিন্দুমাত্র রাজি নয় লাল ফৌজ। পাশাপাশি সাম্প্রতিক এক মার্কিন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। লাদাখ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারতকে চাপে ফেলতে প্রায় ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন।

আরও পড়ুন: পাক-চিনকে কড়া জবাব দিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় ৪৪টি সেতুর উদ্বোধন রাজনাথের

ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ভারত ও চিনের মধ্যে ছয় দফা বৈঠক হয়েছে কর্পস কমান্ডার স্তরের। যদিও তাতে সুরাহা কিছু মেলেনি। ষষ্ঠ দফায় শেষবার এই বৈঠক হয়েছিল গত ২১ সেপ্টেম্বর মোলডোর চিনা অঞ্চলে। প্রায় ১৪ ঘণ্টা চলে এই বৈঠক। যেখানে অংশ নিয়েছিলেন দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরাও। এরপর সোমবার সপ্তম দফায় কর্পস কমান্ডার স্তরের বৈঠকে বসেছে ভারত ও চিন। যেখানে চিনের কাছে ভারতের দাবি রাখা হবে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের। তবে যে মানসিকতা নিয়ে চিন এগোচ্ছে তাতে এই বৈঠক কতদূর সাফল্য পাবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

Previous articleকরোনা সতর্কতায় বার্তা: এবার ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleবোধনে মোদির পুজো-বার্তা