হুগলি তৃণমূলের সম্মেলনে সভাপতি ও বিরোধী গোষ্ঠীর তুমুল দ্বন্দ্ব

রাজ্যে বিধানসভা ভোট কয়েক মাসের মধ্যেই৷ দলের তরফে চেষ্টা চলছে সব বিরোধের নিষ্পত্তি করে ঐক্যবদ্ধ চেহারায় সংগঠনকে ময়দানে নামাতে৷ ঠিক তখনই প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের হুগলি জেলার সভাপতিকে নিয়ে দলের অন্দরের তীব্র অসন্তোষ৷ অসন্তোষের জেরে দু’গোষ্ঠীতে মাত্রাছাড়া কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে৷

রবিবার তৃণমূলের হুগলি জেলা সম্মেলনে নাম না করে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগলেন দলের নেতা ও বিধায়করা৷ উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, সপ্তগ্রামে মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত ও চুঁচুড়ায় অসিত মজুমদার সম্মেলন করেন। উত্তরপাড়ার সম্মেলন মূলত জেলা সভাপতির বিরোধী গোষ্ঠীর সমাবেশ মঞ্চ হয়ে উঠেছিল। প্রবীর ঘোষাল তো বটেই, প্রাক্তণ মন্ত্রী বেচারাম মান্না, অসীমা পাত্রের মতো জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের বিরোধী নেতারা নাম না করে একের পর এক তোপ দাগেন। দিলীপবাবু সবক’টি সম্মেলনেই উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, কে কী বলেছেন, তা নিয়ে এখন ভাবার প্রশ্ন নেই। সততার সঙ্গে দলকে শক্তিশালী করছি।

এদিন উত্তরপাড়ার সভায় বেচারাম মান্না বলেছেন, “পার্টির মাধ্যমে কেউ কেউ করেকম্মে খেয়ে কর্মীদের গুরুত্বই দিচ্ছেন না। এই কর্মীরাই একদিন তাঁকে ঘাড় ধরে বের করে দেবেন। দলের অন্দরে দলবিরোধী কাজ হচ্ছে দলের কিছু নেতাদের প্রশ্রয়ে”। বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, “কিছু মুখ মানুষের কাছে পচে গিয়েছে। পচা মুখের বদল না ঘটালে দলের উন্নতি হবে না”।
তৃণমূল নেতৃত্ব কিছুদিন আগে জেলা সভাপতি হিসেবে দিলীপ যাদবকে দায়িত্ব দেয়। তখন থেকেই দলের মধ্যে কোন্দল শুরু হয়েছে। দলের একাধিক শীর্ষনেতার বক্তব্য, এই কোন্দলে দলের ক্ষতি হচ্ছে৷ ভোটের মুখে এরা সবাই মানুষের কাছে অপ্রিয় হচ্ছে। দলের ক্ষতি হচ্ছে।

আরও পড়ুন-অসুস্থ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বাতিল পূর্বনির্ধারিত সমস্ত কর্মসূচি

Previous articleঅসুস্থ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বাতিল পূর্বনির্ধারিত সমস্ত কর্মসূচি
Next articleচিৎপুরের প্লাস্টিকের কারখানায় ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড