Thursday, August 28, 2025

কোভিডের সৌজন্যে অনলাইনে মন ক্রেতাদের, ৭০ হাজার কোটি ক্ষতির আশঙ্কা বঙ্গের বাজারে

Date:

নিউ নর্মালে পাল্টেছে বিশ্বের চেনা ছবি। বদলে গিয়েছে উৎসবের মেজাজও। পুজোর বাকি মাত্র কয়েকটা দিন। গড়িয়াহাট থেকে হাতিবাগান, নিউ মার্কেট থেকে বড়বাজারের ভিড় বাড়ছে। কিম্তু সেই ভিড় প্রতি বছরের খানিকটা হলেও ম্লান হয়েছে। আবার ভিড় হচ্ছে মানেই যে ক্রেতারা জিনিস কিনছেন, তাও না। আর তাতে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বিক্রেতারা।

গড়িয়াহাট থেকে বড়বাজারে ভিড় হলেও, জিনিস কেনার মতো ক্রেতার অভাব বলেই জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের একাংশের বক্তব্য লকডাউনের পরে যে আর্থিক টানাটানি চলছে। ফলে অনেকেই কম করছেন কেনকেটা। ক্রেতারা বলছেন সংক্রমণ এড়ানোর জন্যই কেনাকাটা বাজারে গিয়ে না করে কিছুটা কেনাকাটা অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমেই করা হচ্ছে। আর এতেই ক্ষতির মুখ দেখছেন সাধারণ বিক্রেতারা। বড়বাজারের এক ক্রেতা বলেন, ‘‘রাস্তাঘাট বা বাজার সব জায়গায় ভিড় বাড়ছে। অনলাইনে যতটা সম্ভব কেনার চেষ্টা করছি। যেটা একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না, সেটা বাজারে এসে কিনতে হচ্ছে।’’

করোনা সংক্রমণের জেরে চলতি বছর মার্চ মাস থেকে শুরু হয় লকডাউন। সেই সময় থেকেই ক্ষতির মুখ দেখতে শুরু করেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। জুনে আনলক পর্ব শুরু হলেও তেমন লাভ হয়নি। আশা ছিল অন্তত দুর্গাপুজোয় কিছুটা হলেও পুষিয়ে যাবে ক্ষতি। উৎসবের মরশুমে স্টক এনেছেন বিক্রেতারা। কিন্তু তা বিক্রি হচ্ছে না। আদৌ বিক্রি হবে কি না তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অনেক বিক্রেতারা বলছেন নতুন স্টক অনেকটা ডিসকাউন্টে তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম।

অর্থনীতিবিদ প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার কেনাবেচা হয়। এই পরিস্থিতিতে কেনাকাটা করতে পারছেন না অনেকেই। এই পরিস্থিতে রাজ্যের অর্থনীতির উপরে বড় ধাক্কা হবে। অনলাইনে কেনাকাটা বেড়েছে ঠিকই। রাজ্যের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন না।’’ তবে কোভিড পরিস্থিতি কেটে গেলে আবার বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলেই আশাবাদী তিনি।

আরও পড়ুন:করোনা সতর্কতায় বার্তা: এবার ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version