অনলাইনে সাভানা বিড়াল অর্ডার দিয়ে ফরাসি দম্পতি পেলেন সুমাত্রার বাঘের ছানা

অনলাইনে এক জিনিস অর্ডার দিয়ে অন্য জিনিস পাওয়া, এমন ঘটনা তো প্রায়ই ঘটে থাকে। কিন্তু বিড়ালছানার বদলে যদি চলে আসে বাঘের ছানা, তাহলে কেমন হবে? ২০১৮ সালে, এমনই ঘটনা ঘটেছিল এক ফরাসি দম্পতির সঙ্গে।

ইন্টারনেটে সাভানা বিড়ালের ছবি দেখে বিড়াল পোষার শখ হয়েছিল ফ্রান্সের উত্তরপশ্চিমাংশের বন্দর অঞ্চল নর্ম্যান্ডির লা হার্ভে শহরের বাসিন্দা এক ফরাসি দম্পতি। যেমন ভাবা তেমন কাজ বেস্ট দর কষাকষির পর ৬০০০ ইউরোয় রফা হয়। ছোট্ট ছানাটি প্রথম দিকে ঠিকই ছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ পর হঠাৎই কিছু কারণে সন্দেহ হতে থাকে দম্পতির। তারা বুঝতে পারেন যেটিকে তারা সাভানা বিড়ালের বাচ্চা ভাবছিলেন, সেটি আসলে তিন মাস বয়স্ক একটি সুমাত্রার বাঘের ছানা।

সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই দম্পতি। দুবছর ধরে চলে তদন্ত। সংরক্ষিত প্রজাতির পশু পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই দম্পতি সহ ৯ জনকে। যদিও পরবর্তীকালে ওই দম্পতিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : নারিনহীন কলকাতাকে উড়িয়ে ‘বিরাট’ জয় কোহলিদের

প্রসঙ্গত, এই সাভানা বিড়াল আসলে সার্ভাল প্রজাতির বন্য এবং গৃহপালিত বিড়ালের সংমিশ্রণ। এরা আদতে আফ্রিকার বাসিন্দা। এদের পা সাধারণত লম্বা হয়, কান বড়, শরীর ছিপছিপে, গায়ে কমলা-খয়েরি রঙ মেশানো লোমের উপর কালো বিন্দু, অনেকটা চিতা বাঘের মতো। সেইসব কারণেই ছানাটিকে বাঘ বলে সন্দেহ হয়নি ওই দম্পতির। উদ্ধার করার পর, সেটিকে ফ্রান্সের বায়োডাইভার্সিটি অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। পরে ছানাটিকে সংরক্ষিত জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়।

তবে এমন ঘটনা নতুন নয়। ২০১৯ সালে, ফের এই ধরণের একটি ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বিড়ালের দুটি বাচ্চাকে তুলে এনে ঠাঁই দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার এক তরুণী। ভেবেছিলেন তাদের পুষবেন। কিন্তু একটু বড় হতেই সেই বাড়ির লোক বুঝতে পারে, সেগুলি বিড়ালের বাচ্চা নয়। বিড়ালের মতো দেখতে এক বন্য জন্তু। পরবর্তীকালে আর্জেন্টিনার অ্যানিম্যাল রেসকিউ ফাউন্ডেশনের হাতে তুলে দেওয়া হয় ছানা দুটিকে।

Previous articleদশভুজার আগমন লগ্নে মুখ্যমন্ত্রীর কথা ও সুরে প্রকাশিত নতুন গানের সংকলন ‘সৃষ্টি’
Next articleহাথরাসকাণ্ড: ”আমার নির্দেশেই পুলিশ রাতের অন্ধকারে দেহ পুড়িয়েছে”, দায় স্বীকার জেলাশাসকের