অন্ত্যেষ্টি বিতর্কে ‘গঙ্গাজল’ ঢালার চেষ্টা জেলাশাসকের, হাথরাসে ফের ধর্ষণ-খুন

হাথরাস গণধর্ষণ মামলায় জেলাশাসকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে আদালতে। বিশেষ করে নির্যাতিতা তরুণীর অন্ত্যেষ্টির সময় তিনি কী করেছিলেন- সে বিষয়ে জানতে চায় আদালত। আর সেখানেই বেনজির যুক্তি দিলেন জেলাশাসক। জানালেন নির্যাতিতার অন্ত্যেষ্টির সময় চিতাতে কেরোসিন নয়, জারিকেন থেকে গঙ্গাজল ঢালা হচ্ছিল।

পরিবারের লোককে কাছে ঘেঁষতে না দিয়ে, কার্যত গৃহবন্দি করে মাঠের মধ্যে মধ্যরাতে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় হাথরাসের নির্যাতিতা তরুণীর দেহ। তাই নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে যেভাবে খড়-পাতা দিয়ে, ‘কেরোসিন’ ঢেলে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়; তাতে মৃতদেহের প্রতি অসম্মান করার অভিযোগ ওঠে। সেই অন্ত্যেষ্টির সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক। তাঁর ভূমিকা নিয়েও আদালতে অভিযোগ জানানো হয়। সেখানেই এই বেনজির ‘তথ্য’ পেশ করলেন জেলাশাসক। তাঁর দাবি, জারিকেন থেকে চিতায় যে তরল ঢালা হচ্ছিল বলে ছবিতে দেখা গিয়েছে, তাতে কেরোসিন নয়; ছিল গঙ্গাজল। যেখানে আগুন জ্বালানো হচ্ছে সেখানে গঙ্গাজল জল ঢালার তাৎপর্য কী? তার ব্যাখ্যা অবশ্য মেলেনি জেলাশাসকের থেকে।

এদিকে এত বিক্ষোভ সমালোচনার মধ্যেই হাথরসেই এক ৬-বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ ওঠে তারই আত্মীয়র বিরুদ্ধে। পুলিশ আলিগড়ে অভিযুক্তর বাড়িতে হানা দিয়ে ওই বালিকাকে উদ্ধার করে। নির্যাতিতাকে প্রথমে আলিগড়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দিল্লির হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এর আগে হাথরসের সাসনি এলাকায় এক শিশুকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রেও অভিযুক্ত যুবক নির্যাতিতা শিশুর আত্মীয় বলে খবর। পুলিশের সার্কল অফিসার রুচি গুপ্ত জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এই ঘটনার পরে অনেকেরই মত, প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের যদি আদালতে এই বয়ান হয়, তাহলে সেই রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা যে তলানিতে ঠেকবে তা আশ্চর্য কী।

আরও পড়ুন-আসল মালিক কে? খোঁজার দায়িত্ব মোষেদের উপরেই চাপাল পুলিশ

Previous articleআসল মালিক কে? খোঁজার দায়িত্ব মোষেদের উপরেই চাপাল পুলিশ
Next articleনৃশংস! এবার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণ