করোনা আবহে রাজ্যে দুর্গোৎসব বন্ধ রাখার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

বাংলায় উৎসবের ঢাকে পড়েছে কাঠি। কিন্তু যতই এগিয়ে আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, ততই যেন এ রাজ্য তথা শহরে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। ঘটছে মৃত্যুও। আবার উৎসবের দিনগুলিতে শহরের রাস্তায় জন-প্লাবনের ট্র্যাডিশন আছে, যদিও এবার সরকার কিংবা প্রশাসন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু তাতেও কী আটকানো যাবে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে উৎসবমুখর বাঙালির ঢলকে? আর যদি সেরকমই কিছু ঘটে, তাহলে পুজো পরবর্তী এ বাংলায় করোনা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করা হচ্ছে কিছু কিছু মহল থেকে।

তাই এমন আবহে রাজ্যে দুর্গোৎসব বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হলো। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। এবার দুর্গাপুজোর নামে উৎসব বন্ধ রাখার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।

যতই সামাজিক দূরত্ববিধি ও স্বাস্থ্যবিধির কথা মেনে দুর্গাপুজো করার নির্দেশ দিক সরকার, কার্যত সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাজারে বাজারে পূজোর কেনাকাটায় জনবিস্ফোরণ। এতেই অনুমান করা যায়, পুজোর চারদিনে রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি কী ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারবে। আর তাতেই পুজো পরবর্তী এ বাংলায় করোনার পৌষ মাস হবে বলেই মনে করছেন অনেকে।

আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় দুর্গাপুজো বন্ধের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টকে জানান, কেরলের ওনাম উৎসব করে সংক্রমণ যে হারে বেড়েছে, এরাজ্যে দুর্গাপূজা হলে করোনা বৃদ্ধির সংখ্যা বহুগুণে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “ওনাম উৎসব করে কেরালায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতহারে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সাড়ম্বরে দুর্গাপুজো পালনের কারণেও একইভাবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

একইসঙ্গে সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় তাঁর আবেদনে মহারাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে এনে বলেন, “মহামারীর আবহে মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যে গণেশ পুজো ও মহরম নিষিদ্ধ করেছে। সেই উদাহরণ মাথায় রেখেই বাংলায় এ বছর দুর্গাপুজো পালনে উৎসব বন্ধ করার নির্দেশ জারি করা হোক।”

আরও পড়ুন-ভার্চুয়ালি উত্তরবঙ্গের পুজো উদ্বোধন, দ্রুত করোনা মুক্তির প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রীর

Previous articleভার্চুয়ালি উত্তরবঙ্গের পুজো উদ্বোধন, দ্রুত করোনা মুক্তির প্রার্থনা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleআমাদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অধিকার ফিরিয়ে আনবো: মেহবুবা মুফতি