দিলীপ যাদবের বিরুদ্ধে দলে প্রবল বিদ্রোহ, সামাল দিতে বৈঠকে অভিষেক

হুগলির তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের বিরুদ্ধে কার্যত গণবিদ্রোহ দলের অভ্যন্তরেই। একের পর এক দলের প্রবীন, আদি এবং তরুণ প্রজন্ম দিলীপের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। আর তার জেরেই হুগলি জেলার নেতাদের ডেকে পাঠিয়েছেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার তিনি বৈঠক করছেন।

দু’দিন আগেই বোমা ফাটিয়েছিলেন দলের পুরনো দিনের কাণ্ডারী ও মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেছিলেন, কেউ কেউ আমায় হারানোর চেষ্টা করছেন। সব তালিকা করে রাখছি। ভোটের পর সব হিসাব বোঝাব। বাদ যাননি সিঙ্গুরের নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাও। সাংসদ অপরূপা পোদ্দারও ব্যাপাক নারাজ। বলেন, আমাকে না জানিয়েই একের পর এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আমরা জেলার ১৮টি আসনই দিদিকে উপহার দিতে চাই। কিন্তু আমরা মিটিং করছি এমএলএ ও ব্লক সভাপতিদের নিয়ে। আর দেখছি পাল্টা মিছিল করছেন জেলা সভাপতি তার সমর্থকদের নিয়ে। মানুষের কী ধারণা হচ্ছে? কী বার্তা যাচ্ছে?

ঘটনা পরম্পরায় বেজায় ক্ষুব্ধ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুধবার মুখ খুলেছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তাঁর সাফ কথা, জেলা সভাপতি পাত্তাই দেন না বিধায়কদের। কোনও কর্মসূচিতে ডাকেন না। প্রবীরের মতোই ক্ষুব্ধ ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার এবং জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী।

চিত্র হলো, দিলীপের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহী এবং ক্ষুব্ধ দলের উপর-নিচের অধিকাংশ নেতা। সেই সঙ্গে দিলীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন গঙ্গার ধারে একের পর এক বেআইনি নির্মাণ করার অনুমতি দিয়েছেন। দখল হয়ে গিয়েছে গঙ্গার পার। বারবার নোটিশ দেওয়ার পরেও পরিস্থিতির কোনও সুরাহা হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে কিসের স্বার্থে পুরসভা বেআইনি নির্মাণে মদত দিয়েছে? দলের ভিতরেই প্রশ্ন, কিসের স্বার্থে দিলীপের এই বদান্যতা, তা খুঁজে বের করুক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ফলস্বরূপ অভিষেকের সঙ্গে দলীয় নেতাদের বৈঠক। এই বৈঠকে দলের সভাপতি বদলের যে প্রবল চাপ আসবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন-“দৃষ্টান্ত” উৎসবসংখ্যা: মুকুল কী করে দুই সরকারকেই পকেটে রাখছেন?

Previous articleপাখির শরীরে মিশে রয়েছে আস্ত ছাগল, ব্যাপক ভাইরাল শাবানার টুইট
Next articleআন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এদেশের বাজারে ফের ঊর্ধ্বমুখী সোনা