ভয়াবহ অতিমারি করোনার সঙ্গে লড়াই করছে গোটা বিশ্ব। ভ্যাকসিন নেই, ফলে লড়াইয়ের একমাত্র রাস্তা সচেতনতা। দেশ তথা পৃথিবীর ভয়াবহ এই বিপদে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন কিছু মানুষ। যে তালিকা সর্বাগ্রে রয়েছেন ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকরা। তাদের সম্মান জানিয়েই এবার সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনব ভাবনায় পা মেলাল চন্দননগর। আলোক প্রদর্শনীর মাধ্যমেই মানুষের মধ্যে সচেতনতার বীজ বপন করতে এগিয়ে এল তারা। এবার চন্দননগরের করোনা সচেতনতামূলক আলোকসজ্জা প্রদর্শিত হতে চলেছে শহরের বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপে। তার মধ্যে অন্যতম শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব।

আলোক শিল্পে জগৎজোড়া নাম চন্দননগরের। শহরের পূজামণ্ডপ তো বটেই ভিন রাজ্য পাড়ি দেয় চন্দননগরের আলোকসজ্জা। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবারের দুর্গা পুজোয় দেশের করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানানোর সুযোগ কোনও মতেই ছাড়তে চায় না তারা। মানুষকে সচেতন করা তো বটেই, পাশাপাশি বিভিন্ন আলোকসজ্জার মাধ্যমে চন্দননগর তুলে ধরেছে কঠিন এই পরিস্থিতিতে কীভাবে মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছেন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত করোনা যোদ্ধারা। বিশ্ববাংলা সংবাদের ক্যামেরায় ধরা পড়ল তারই কিছু টুকরো ছবি।

আরও পড়ুন: জ্বর নেই-সিটি স্ক্যান রিপোর্টে মেলেনি সমস্যা, ভালো আছেন দিলীপ ঘোষ

এ প্রসঙ্গে, চন্দননগরের বিশিষ্ট আলোকশিল্পী বাবু পাল বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে চন্দননগরের আলোকসজ্জাও এবার সমস্যার মুখে। পুজোর বাজেট কমিয়ে দেওয়ার কারণে বহু বারোয়ারি পুজো উদ্যোক্তা বাতিল করে দিয়েছে আলোকসজ্জার বরাত। ফলস্বরূপ ক্ষতির মুখে পড়েছেন শিল্পীরা। তবে এসব কিছুর মাঝেই মানুষের মধ্যে সচেতনতার প্রসার ঘটাতে এবং মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করা করোনা যোদ্ধাদের সম্মানার্থে অভিনব আলোকসজ্জার আয়োজন করেছি আমরা। কলকাতার বেশকিছু পুজোমণ্ডপে এই আলোকসজ্জা প্রদর্শিত হবে। আমাদের উদ্দেশ্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা জাগানো। যাতে আগামী দিনে মানুষের বিপদে পাশে এসে দাঁড়ায় মানুষ।
