Tuesday, July 15, 2025

এই প্রথম কেন্দ্র স্বীকার করলো দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ, তালিকায় বাংলাও

Date:

Share post:

বিপদ কি বাড়ছে ?

গত মার্চ থেকে এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার করলো দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা৷

রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন নিজেই জানিয়ে দিলেন, ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হচ্ছে। তবে দেশজুড়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ এখনও হয়নি৷ এই সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত কয়েকটি জেলাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

ভয়ঙ্কর বিপদের বার্তা এ রাজ্যের জন্য৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, গোষ্ঠী সংক্রমণের আওতায় থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও আছে।

প্রতি সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও হর্ষবর্ধন হাজির হয়েছিলেন রবিবারের সাপ্তাহিক ওয়েবিনার সানডে সংবাদে৷ একাধিক প্রশ্নের মধ্যেই উঠে আসে গোষ্ঠী সংক্রমণের বিষয়টি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কয়েকটি রাজ্যের কয়েকটি পকেটে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যেসব এলাকায় ঘন জনবসতি রয়েছে, সেখানেই এই সংক্রমণের সম্ভাবনা। হর্ষ বর্ধন বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গাও এই তালিকায় রয়েছে।

অতীতে বহুবার গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা উঠলেও কখনই স্বীকার করেনি কেন্দ্র। প্রতিবারই বিচ্ছিন্ন সংক্রমণের ঘটনা হিসাবে বলা হয়েছে। ওদিকে হ দিল্লি এবং কেরল স্বীকার করেছে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা৷
এ রাজ্যের পক্ষে আতঙ্কের বার্তা, এবার সংক্রমণের ‘থার্ড স্টেজে’ উঠে আসছে পশ্চিমবঙ্গের নাম। এই ‘থার্ড’ স্টেজের অর্থ, সরাসরি গোষ্ঠী সংক্রমণ। আর চতুর্থ পর্যায়ে রয়েছে অতিমারি।

প্রসঙ্গত, মহামারির প্রথম দু’টি স্টেজ হলো, বিদেশ থেকে আসা সংক্রমণ এবং স্থানীয় ভাবে সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া।
এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হওয়া, যখন বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের উৎস বা “ইনডেক্স পার্সন” খুঁজে পাওয়া যায় না৷ হদিশ মেলে না সংক্রমণ- শৃঙ্খলটির বিস্তারের গতিবিধিরও।

এদিকে, রবিবারই সরকার নিযুক্ত উপদেষ্টা কমিটি জানিয়েছে, ভারতে ৩০ শতাংশ মানুষের শরীরের করোনার সঙ্গে লড়াই করার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। বলা হয়েছে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে করোনা-সংক্রমণ নাগালে আসার সম্ভাবনা আছে।

বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে জমায়েত নিয়েও।
আর এখানেই ভয় পশ্চিমবঙ্গের। দুর্গাপুজো কার্যত শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো প্যান্ডেলগুলিতে হওয়া জনস্রোতে আকাশ ছুঁতে পারে সংক্রমণ৷ গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি দিয়ে এ কথাই বলেছিলো ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। চিঠিতে বলা হয়েছিলো, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে বেড নেই৷ ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। এরপর পুজোর কারনে যদি সংক্রমণ ধেয়ে আসে তাহলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

সব মহল থেকে আশঙ্কার বার্তা এলেও কলকাতা তথা রাজ্যে দুর্গাপুজোর আয়োজন দেখে অন্য বছরের থেকে খুব একটা ফারাক কিন্তু দেখা যাচ্ছেনা এ বছরের পুজোয়৷ এখন অপেক্ষা পুজোর দিনগুলির৷

আরও পড়ুন- কাল উত্তরবঙ্গে বিজেপি সভাপতি, নাড্ডার চ্যালেঞ্জ দলাদলিতে দীর্ণ বিজেপি

spot_img

Related articles

মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরেও অনড় চাকরিহারারা! চাপে পড়ে রাতভর অবস্থানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার 

মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠকেও মিলল না রফাসূত্র। এদিকে রাতভর অবস্থান বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত জানিয়েও কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল...

সামুদ্রিক পণ্য রফতানিতে নতুন রেকর্ড রাজ্যের, আয় ছাড়ালো ৪,৩৩৩ কোটি

সামুদ্রিক পণ্য রফতানিতে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গ। মেরিন প্রোডাক্টস ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (MPEDA) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে...

বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের নিকটাত্মীয়ের চাকরি: প্রস্তাব অনুমোদন মন্ত্রিসভার বৈঠকে, আরও ১৩ পরিবারকে সহায়তা

বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Train Accident) প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে আরও একবার দাঁড়াল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে...

হাইকোর্টে বুধবার একসঙ্গে শুনানি ওড়িশা-দিল্লির পরিযায়ী শ্রমিকদের মামলার 

ওড়িশা ও দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকে রাখার অভিযোগে দায়ের হওয়া দুটি পৃথক মামলার একসঙ্গে শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে...