রাজতন্ত্রের অবসান ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি থাইল্যান্ডে, বন্ধ হল ৪ সংবাদ সংস্থা

থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের অবসান ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে চলছে এই আন্দোলন। দিন তিনেক আগে জরুরি অবস্থা জারি করে মেলেনি ফল। গত পাঁচ দিন ধরে সে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে আন্দোলন। পড়ুয়াদের নেতৃত্বে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। অবস্থা ক্রমশ খারাপ দিকে এগোনোর কারণে চারটি সংবাদ সংস্থাকে বন্ধ করে দিল থাইল্যান্ডের প্রশাসন।

দেশে আন্দোলনের জেরে উত্তাল পরিস্থিতির বেশ কিছু ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে। এবার সেই কারণে থাই প্রশাসন বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা পড়ুয়াদের ফেসবুক পেজটিও বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও গত পাঁচ দিন ধরে জন আন্দোলনের যে সমস্ত ছবি ও ভিডিও তারা আপলোড করেছে সেগুলিও মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শুক্রবার ব্যাংকক -এর রাস্তায় প্রবল বিক্ষোভকে বাগে আনতে কড়া পদক্ষেপ নেয় থাইল্যান্ড প্রশাসন। আন্দোলনকারীদের শরীরে গরম জল ছেটাতে শুরু করে। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উলটে পরিস্থিতি আরও উত্তাল হতে থাকে। এরপর শনিবার ব্যাংককের মেট্রো রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। গ্রেফতার হয়েছে বহু বিক্ষোভকারীও। এরপরই আন্দোলনকে থামানোর জন্য চারটি সংবাদ সংস্থা ও বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা পড়ুয়াদের প্রধান ফেসবুক পেজ বন্ধ করার পরিকল্পনা নেয় প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে থাইল্যান্ডের রাজা ভাজিরালাংকর্ণ দেশের ক্ষমতায় রয়েছে। তবে তিনি বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন জার্মানিতে। সেখানে তাঁর বিলাসিতার ছবি থাইল্যান্ডের মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটিয়েছিল। তিন মাস আগে পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠানের সময় ওই রাজ পরিবারের এক সদস্যের গাড়িকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। এরপর থেকেই রাজার ক্ষমতা কমানো ও প্রধানমন্ত্রী প্রত্যুষ চাওচারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন-সীমান্ত সংঘর্ষে উত্তাল অসম-মিজোরাম, তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকল কেন্দ্র

Previous articleবেশি রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো,যাত্রী বাড়ানো হল ৪০ শতাংশ
Next article১০ বছর ধরে কঠিন রোগে ভুগছেন অনিল কাপুর, চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন বিদেশেও