বেতনে মন ভরে না, পদত্যাগের পরিকল্পনা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর

দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে থেকে যে বেতন হাতে পান তাতে কোনওভাবেই সন্তুষ্ট নয় তিনি। যার জেরে এবার পদত্যাগের পরিকল্পনা করছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইতিমধ্যেই নিজের ঘনিষ্ঠমহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও করেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের একাধিক সংবাদ মাধ্যমে তরফে সম্প্রতি জানা গিয়েছে এই তথ্য। শীঘ্রই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন বলেও জানা যাচ্ছে।

ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বর্তমানে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪০২ পাউন্ড বেতন পান বরিস জনসন। সংখ্যাটা ভারতীয় মুদ্রায় হিসেব করলে প্রায় ১.৫০ কোটি টাকা। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এর তুলনায় অনেক বেশী রোজগার করতেন তিনি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে শুধুমাত্র খবরের কাগজে প্রতিবেদন লিখে মাসিক ২৩ হাজার পাউন্ড রোজগার হত বরিস জনসনের। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২২ লক্ষ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়ে মাসিক রোজগারের অংকটা বেড়ে যেত অনেকটাই। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সে সব সুযোগ এখন বন্ধ। এদিকে যে বেতন তিনি পাচ্ছেন তাতে মন ভরছে না কোনওভাবেই। যার জেরেই এবার পুরনো পেশায় ফিরে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন বরিস।

আরও পড়ুন: নভেম্বরে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ? নতুন আরও ২১৭৪টি করোনা-বেড রাজ্যে

তবে বরিসের পদত্যাগ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক এমপি জানান, ৬ জন সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব রয়েছে বরিস জনসনের কাঁধে। তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি নানান খরচ রয়েছে। এছাড়াও প্রাক্তন স্ত্রীর খোরপোষ দিতে হয় বলিসকে। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যে বেতন তিনি পাচ্ছেন তা দিয়ে সবটা সামলে উঠতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি আরও একটি সূত্রের দাবি, ব্রিটেনের প্রাক্তন যেসব প্রধানমন্ত্রীর রয়েছেন পদত্যাগের পর বক্তৃতা পিছু এক একজন ১০ লক্ষ পাউন্ড করে আয় করেন। এখানকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ১ লক্ষ ২০ হাজার পাউন্ড আয় করেন এক একটি বক্তৃতায়। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। ফলস্বরূপ আয় বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়াই যে সবচেয়ে ভালো পন্থা একথা বেশ বুঝেছেন বরিস।

Previous articleখোদ ডা: নীলরতন সরকারের মেসেজ এনআরএস-এর প্রাক্তন ডেপুটি সুপারকে!
Next articleনির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন করতে চায় বিএনপি