হাথরসের যে জমিতে দুষ্কর্ম, ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাইলেন সেই ক্ষেতের মালিক

উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক দলিত যুবতীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। নৃশংস সেই গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এরই মাঝে যে বাজরার ক্ষেতে নির্যাতিতার সঙ্গে দুষ্কর্ম হয়েছিল, যোগী সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে বসল সেই ক্ষেতের মালিক। ক্ষেত মালিক সোম সিংয়ের অভিযোগ, সময়ে ফসল কাটতে না পারার জন্য কম করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে তাঁর। ফলস্বরূপ উত্তরপ্রদেশ সরকার তাঁকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিক।

সম্প্রতি পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সোম সিং বলেন, ক্ষেতে ফসল কাটার সময় পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। বলা হয়, ফসল কেটে দিলে সব প্রমাণ লোপাট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। শুধু তাই নয়, জমিতে জল পর্যন্ত দিতে দেওয়া হয়নি। পুলিশি বাধার জেরে সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর। সেহেতু এই ক্ষতিপূরণ তাঁর প্রাপ্য। পাশাপাশি ওই ব্যক্তি বলেন, জয়পুরে একটি ছোটখাট চাকরি করতেন তিনি। লকডাউনের কারণে নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। চাকরি চলে গিয়েছে। গ্রামে কোনওমতে চাষ করে দিন চলছিল। ঘটনার পর ওই জমিতে তাঁর মা জল দিতে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের বাধায় ফিরে আসতে হয় তাঁকে। ওই দুষ্কর্মের পর দীর্ঘদিন তাঁর জমি ঘেরাও করে রাখে পুলিশ বাহিনী।

আরও পড়ুন: রায় বিবেচনায় হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের

ওই জমির মালিক সোম সিং আরও বলেন, গোটা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর এখন সিবিআই আমাকে বলছে ফসল কেটে নেওয়ার জন্য। কিন্তু এখন আর ফসল কেটে কি হবে? ফসল তো নষ্টই হয়ে গিয়েছে। যে সময় ফসলে জল দিতে হত, সেই সময় পুলিশ ওই জমি ঘিরে রেখেছিল। কাউকে আশেপাশে যেতে দিচ্ছিল না। আমার ৫০ হাজার টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সরকারের কাছে আমি আবেদন করেছি যেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় আমাকে। কারণ চাষবাস ও পশুপালন করেই দিন কাটে আমাদের।

Previous articleএকদিনেই পাঁচদিনের পুজো, মন খারাপ পিটারবোরোর
Next article‘আপনারা সাবধানে থাকুন’, চিঠিতে সহকর্মীদের উদ্দেশে বার্তা পুলিশ কমিশনারের