Big Breaking : বাংলায় ক্ষমতা দখলে সংশয় থাকলেই ৩৫৬ প্রয়োগ করবে বিজেপি! অভিজিৎ ঘোষের কলম

বাংলা দখলে মরিয়া মোদি-শাহর বিজেপি। কতখানি মরিয়া? এতখানি মরিয়া যে প্রয়োজনে শেষ অস্ত্র হিসাবে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করার কথাও গুরুত্ব দিয়ে আলোচনায় এসেছে। মোদ্দা কথা ‘মারি অরি পারি যে কৌশলে।’

দিল্লি বিজেপি মহলে এখন একটাই আলোচনা, নো মোর তৃণমূল। তারজন্য যদি কোথাও কড়া পদক্ষেপ করতে হয়, কোথাও বাংলার কিছু মানুষ বিমুখ হন, তবে হোক। কিন্তু বাংলার মসনদে গেরুয়া পতাকা ওড়াতেই হবে ২০২১ সালের ভোটে।

রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষস্থানীয় নেতা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আলোচনায় বলেছেন, আমি যতটুকু দিল্লির নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছি, তাতে বুঝতে পেরেছি তৃণমূল সরকার যাতে আর না ফেরে তার জন্য সব ধরণের অঙ্ক কষতে আরম্ভ করেছে দিল্লি। ২০২১-এর টার্গেট বাংলা।

কিন্তু ৩৫৬ ধারা জারির কারণ কী? দিল্লির বক্তব্য…
১. রাজ্যে আল কায়েদা জঙ্গিদের ঘাঁটি, জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা
২. সীমান্ত দিয়ে একের পর এক অনুপ্রবেশে মদত এবং তাদের নাগরিক স্বীকৃতি
৩. রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ক্রমশ নিম্নগামী। বিরোধী নেতাদের রাজনৈতিক কার্যকলাপে বাধা, গ্রেফতার, আটক
৪. শাসক দলের ভাড়াটে গুণ্ডাদের হাতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী খুন এবং পাল্টা বিজেপি নেতা-কর্মীদেরই আটক
৫. এবং সর্বোপরি পুলিশ ও আমলা মহলের রাজনীতিকরণ।

বিজেপির সেই রাজ্যস্তরের অন্যতম শীর্ষ নেতা আরও এক কদম এগিয়ে বলেছেন, রাজ্য সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে এই রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু হতে পারে। অথবা ভোট পিছিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। এক্ষেত্রে রাজ্যপালের রিপোর্ট বড় ভূমিকা নেবে।

তবে দিল্লি বিজেপি নেতৃত্ব ৩৫৬ কে শেষ অস্ত্র হিসাবেই প্রয়োগ করতে চাইছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি বাংলার উপর নজর রাখতে শুরু করেছে। আইবি, র, বিএসএফ ছাড়াও সমীক্ষা সংস্থাকে নামানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক অফিসার নাকি ওই বিজেপি নেতাকে বলেছেন, ভোটের প্রাক মুহূর্তে যদি সব দিকের রিপোর্টে দেখা যায় বিজেপির ক্ষমতায় আসা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, তাহলে ৩৫৬ জারি করতে এক মুহূর্ত দেরি করা হবে না।

কারণ, বিজেপি মনে করছে, রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বছর দেড়েক টেনে দিতে পারলেই ক্ষমতাহীন তৃণমূল কংগ্রেসের মাজা ভেঙে যাবে। আর তখন ভোটে বিজেপির কিস্তি মাত করা হবে শুধু সময়ের অপেক্ষা।

যদিও রাজ্য বিজেপির ওই নেতা বলেন, তাঁরা কিন্তু লড়াই করে জেতার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। এ কথা কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।

কী করবে দিল্লি বিজেপি? কোটি টাকার প্রশ্ন।

আরও পড়ুন-উত্তরবঙ্গের সভা বুঝিয়ে দিল বিজেপিতে মুকুলের জায়গা ঠিক কোথায়, অভিজিৎ ঘোষের কলম

Previous articleটিকা কিনতে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে এই দেশ, চেয়েছে ৪২৫০ কোটি ঋণ
Next articleবদলাচ্ছে গ্যাস বুকিং-এর নম্বর, জেনে নিন নতুন নম্বর