টিকা কিনতে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে এই দেশ, চেয়েছে ৪২৫০ কোটি ঋণ

খায়রুল আলম (ঢাকা) : বিশ্বব্যাঙ্ককে টিকা ক্রয়ে জনসংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য নায্যতার সঙ্গে দ্রুত ঋণ মঞ্জুরের আহ্ববান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। টিকা কিনতে সংস্থার কাছ থেকে ৫০ কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। শনিবার অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বব্যাংক–আইএমএফ এর বার্ষিক সভা-২০২০ এর অংশ হিসাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মু্স্তফা কামালের নেতৃত্বে একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিন এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন।

সভার শুরুতে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংকের অব্যাহত সহযোগীতার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি কোভিড-১৯ টিকা ক্রয়ের জন্য ঋণ সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে আইডিএ ভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যাধিক্যের দিক দিয়ে ৩য় স্থানে থাকা বাংলাদেশের জন্য জনসংখ্যার ভিত্তিতে নায্যতার সঙ্গে দ্রুত ঋণ মঞ্জুরের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মি হার্টউইগ শ্যেফার এর সহযোগীতা কামনা করেন।

অর্থমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাঙ্কের গৃহীত দ্রুত ও সময়োযোগী বিভিন্ন উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন। তিনি এ প্রসঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবেলার ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে ১০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেন। বিশ্বব্যাংকও এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশের বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচকভাবে দেখা হবে।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী করোনার টিকা আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সকল জনগনের জন্য টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের কথা বলেন। বর্তমান চলতি অর্থ বছরে বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের আইডিএ ১৯ এর আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থের অতিরিক্ত হিসাবে করোনা টিকা আমদানী,ক্রয়, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিতরনের কাজে ব্যবহারের উদ্দশ্যে ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।

কোভিড-১৯ এর কারণে সংঘটিত দেশের বিভিন্নমুখী ক্ষয়-ক্ষতি পূরণের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত কোভিড-১৯ রিকভারি অ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ৫০ কোটি ডলার। চলতি অর্থ বছরে জরুরি ভিত্তিতে অন্তত ২৫ কোটি ডলার ছাড়করণের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের প্রতি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন আলোচনাকালে বলেন যে, বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ)১৮ এর আওতায় বাংলাদেশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বিশ্বব্যাংকের স্কেল আপ ফ্যাসিলিটি থেকে আরও বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। যা আইডিএ ভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে একক সর্বোচ্চ পরিমাণ। তিনি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সক্ষমতা প্রদর্শন করায়, আইডিএ-১৯ এর আওতায় বাংলাদেশকে বিগত বছরগুলোর তুলনায় অধিক পরিমানে বরাদ্দ প্রদানের অনুরোধ করেন।

আরও পড়ুন-দুর্গাপুজো সার্বজনীনতার আদর্শ উদাহরণ: ভারতীয় হাইকমিশনার

Previous articleদুর্গাপুজো সার্বজনীনতার আদর্শ উদাহরণ: ভারতীয় হাইকমিশনার
Next articleBig Breaking : বাংলায় ক্ষমতা দখলে সংশয় থাকলেই ৩৫৬ প্রয়োগ করবে বিজেপি! অভিজিৎ ঘোষের কলম