মেঘালয়ে বাঙালিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি জাতীয় বাংলা সম্মেলনের

মেঘালয়ের রাস্তায় বাঙালি বিদ্বষী পোস্টার

অবিলম্বে মেঘালয়ে বাঙালিদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার দাবিতে সরব হলো জাতীয় বাংলা সম্মেলন। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কোনরাড সঙ্গমাকে চিঠি লিখল সংগঠন। বাঙালি বিরোধী পোস্টারের ছেয়ে গিয়েছে মেঘালয়ের বিভিন্ন প্রান্তে। শিলং সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় বাঙালিদের বিরূদ্ধে উস্কানিমূলক ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়েছে খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন তথা কেএসইউ। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে সংগঠন।

মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সংগঠন দাবি জানিয়েছে, ইছামতী, মাঝাই সহ রাজ্যের যে যে প্রান্তে বাঙালিরা আছেন, সেখানে তাঁদের সুরক্ষা দিতে হবে। তারা উল্লেখ করেছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে গ্রাম থেকে বাঙালিদের চলে যেতে বলা হচ্ছে। তাঁদের উপর অত্যচার করা হচ্ছে। বিশেষত মহিলা এবং শিশুদের লক্ষ্য করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন এটা চলতে পারে না। বাঙালিদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে তার ব্যবস্থা নিক সরকার। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধব্রত দাস বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি জানিয়েছি। বাঙালিরা সুরক্ষিত না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’

ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের শুরুর দিকে। মেঘালয়ের ইছামতিতে সিএএ-র বিরুদ্ধে মিছিলের আয়োজন করে খাসি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন। সেই সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় খাসি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের এক সদস্যের। এরপর থেকেই আক্রমণ নেমে আসে বাঙালিদের উপর। বলা হয় একমাসের মধ্যে বাড়ি ঘর ফাঁকা করে অন্যত্র চলে যেতে হবে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাঙালিদের সুরক্ষার দাবিতে গত ১১ মার্চ কলকাতার মেঘালয় ভবনে ডেপুটেশন দেয় জাতীয় বাংলা সম্মেলন।

চলতি মাসে ফের উত্তপ্ত হয়েছে মেঘালয়ের পরিস্থিতি। বিভিন্ন জায়গায় বাঙালি বিদ্বেষী পোস্টার টাঙানো হয়েছে। পোস্টারে লেখা হয়েছে, “মেঘালয়ের বাঙালিরা বাংলাদেশি,” “খাসিল্যান্ড খাসিদের জন্য।” পোস্টার ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ওই পোস্টারে ইছামতির ঘটনা এবং ওই মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে সব সম্প্রদায়ের কাছে উৎসবের মরশুমে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে মেঘালয়ের সরকার। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়, ” প্রকাশ্যে যেসব পোস্টার ব্যানার টাঙানো হয়েছিল, তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সহযোগিতা করুন।” এ বিষয়ে মেঘালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাহকম্যান রায়ইম্বু বলেন, ” রাজেশ শান্তি এবং সম্প্রীতি নষ্ট করে কোন কিছুই করা উচিত নয়। আমি প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ করছি এই ঘটনাকে যেন সাম্প্রদায়িক রং না দেওয়া হয়।”

আরও পড়ুন:চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ডোভাল : ভারত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত

 

Previous articleচিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ডোভাল : ভারত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত
Next articleআনন্দোৎসবের মাঝেও দুঃসংবাদ, ফের করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন এক পুলিশকর্মী