শারদোৎসবে রাজ্যে আরও ৪ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মৃত্যু

শারদোৎসবে রাজ্যে আরও ৪ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মৃত্যু

পুজোর আবহে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করেছিলেন চিকিৎসকরা। আর শারদোৎসবের মধ্যেই আরও ৪ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মৃত্যু হল রাজ্যে। গত একমাসের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাও। তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত এ রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের মৃত্যু সংখ্যা ৬৩।

করোনা আক্রান্ত হয়ে বর্ধমানের মেমারিতে ৭৫ বছর বয়সী চিকিৎসক দিলীপ ভট্টাচার্যের মৃত্যু হয়েছে। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ৮০ বছরের সুজন কুমার মিত্র, চিকিৎসক অমল রায় এবং ৬৫ বছর বয়সী দিলীপ বিশ্বাসেরও ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে।

অষ্টমীর দিন ৬৫ বছর বয়সী দিলীপ বিশ্বাসের মৃত্যু হয় সিউড়ি জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসক অমল রায় করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। একিউট কোভিড নিউমোনিয়ায় তাঁর মৃত্যু হয় মঙ্গলবার সকালে।

ঘটনায় আশঙ্কা বাড়ছে চিকিৎসক মহলে। ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের ডঃ রাজীব পান্ডে বলেন, “আমরা হাতজোড় করে সকলের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, যেভাবেই হোক এই সংক্রমণ-মৃত্যু আটকাতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখলাম প্রাণ বাঁচানোর কাজে যুক্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরাও প্রাণ হারাচ্ছেন।

অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিসেস ডক্টরসের রাজ্য সম্পাদক মানস গুমটার অভিযোগ, কেউ কেউ দায়িত্ব পালন করলেও অনেকেই উদাসীন। চিকিৎসকেরা আপ্রাণ লড়ছেন। কিন্তু তাঁদেরও ক্লান্তি আছে। এটা মনে রাখতে হবে। চিকিৎসকরা মৃত্যুর বলি হচ্ছেন প্রায় প্রত্যেকদিনই। এখনও সময় আছে, সতর্ক হতে হবে।

সবমিলিয়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই জানিয়েছে একাধিক চিকিৎসক সংগঠন। মানুষ সচেতন না হলে আরও বিপজ্জনক হবে পরিস্থিতি। আশঙ্কা চিকিৎসকদের।

আরও পড়ুন-কলেজের সামনেই গুলিতে মৃত্যু ছাত্রীর, উত্তপ্ত হরিয়ানা

Previous articleবিদ্রোহে ইতি, বিজয়ার রাতেই দিলীপের বাড়ি গিয়ে আত্মসমর্পণ সৌমিত্রর
Next articleপুজো শেষেই শুরু রাজনৈতিক তরজা, বিজেপিকে “করোনা” বলে তোপ ফিরহাদের