পুজো শেষেই শুরু রাজনৈতিক তরজা, বিজেপিকে “করোনা” বলে তোপ ফিরহাদের

পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। এবার বিজেপিকে সত্যিকারের “করোনা” বলে তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজনীতিতে সত্যিকারের “করোনা” হল বিজেপি। এরা যত তাড়াতাড়ি শেষ হয়, ততই বাংলার মঙ্গল। ফিরহাদ হাকিম বলেন, মা দুর্গা যেমন অসুরকে বধ করেছিলেন, তেমনই একদিন করোনাও বধ হবে। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, বিজয়াতে দেবী দুর্গার কাছে তাঁর প্রার্থনা করোনা বধের মতোই বাংলা থেকে বিজেপিকে তাড়ান।

একইসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে ইঙ্গিত করে ফিরহাদ বিজেপির অস্ত্র পুজোর কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, অস্ত্র পুজো কেন? পুজো করার পর কি তা দিয়ে কাউকে মারা হবে? মা দুর্গার কাছে থাকা অস্ত্র নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, সেখানে যে অস্ত্র থাকে তা কৃত্রিম। বিজেপির বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা, হামলা ও মারামারির চেষ্টার অভিযোগ তিনি করেছেন। বিজেপির অস্ত্র পুজো নিয়ে প্রশাসন যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তারও প্রশংসা করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অস্ত্র পুজো করা নিয়ে দিলীপ ঘোষের যুক্তি, “শস্ত্র হচ্ছে শক্তির প্রতীক, দেশ-ধর্ম-সমাজ রক্ষার জন্য শস্ত্রের প্রয়োজন, শস্ত্রই আমাদের রক্ষা করে।”

এদিকে, গতকাল বিজয়া দশমীতে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, লক্ষ্য এবার একুশের বিধানসভা ভোট। সবাইকে একজোট হয়ে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। সমবেত কণ্ঠে সংকল্প গ্রহণ করার কথা বলে তিনি আহ্বান জানান, করব মোরা লড়ব মোরা, সোনার বাংলা গড়ব মোরা। রাজ্য সভাপতি হিসেবে তাঁর আবেদন, বাংলার স্বার্থে, বাঙালির স্বার্থে আবারও একবার নিজেদের উজাড় করে দিয়ে বিজেপিকে প্রমাণ করে দিতে হবে যে সদিচ্ছা থাকলে যে কোন অসাধ্য সাধন অতি ক্ষুদ্র বিষয়। তিনি বলেছেন, সমবেত কণ্ঠে সঙ্কল্প গ্রহণ করে বলতে হবে যে “করব মোরা লড়ব মোরা সোনার বাংলা গড়ব মোরা।”

আরও পড়ুন-‘দলবদলু’ বিধায়ক: দিলীপ ঘোষের মূল্যায়ণ ঘিরে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে

Previous articleশারদোৎসবে রাজ্যে আরও ৪ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মৃত্যু
Next articleকীভাবে হল তাঁর গানের অ্যালবাম ‘সৃষ্টি’? জানালেন মমতা