গুজরাত দাঙ্গার টানা ৯ ঘণ্টার জেরা, চা-ও মুখে তোলেননি মোদি!

গুজরাত দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে সিটের জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তখন তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। ২০০২ সালের সেই দাঙ্গার জেরে সিটের মুখোমুখি বসে মোদিকে জবাব দিতে হয়েছিল চোখা চোখা ১০০টি প্রশ্নের। এবং টানা ৯ ঘন্টার জেরায় তিনি নাকি একটিও প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাননি। আশ্চর্যের বিষয় হলো এক কাপ চাও সেদিন নাকি খেতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সেই সময় সিট-এর প্রধান ছিলেন আর কে রাঘবন। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত সিটের দায়িত্ব নেওয়ার আগে রাঘবন সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তা হিসাবে কাজ করেন। শুধু তাই নয় রাঘবন বোফর্স কেলেঙ্কারি, পশুখাদ্য মামলা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ম্যাচ গড়াপেটা কেলেঙ্কারির মতো হাইপ্রোফাইল মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৭ সালে অবসর নেওয়ার আগে সাইপ্রাসের হাইকমিশনারও ছিলেন। রাঘবন তাঁর কর্মজীবন নিয়ে একটি বই লিখেছেন। কার্যত তাঁর আত্মজীবনী। নাম ‘এ রোড ওয়েল ট্রাভেল্ড’। সেখানে তিনি ‘মুখ্যমন্ত্রী মোদি’র প্রসঙ্গ এনেছেন এবং তুলে ধরেছেন অজানা তথ্য।

সিটের জেরার দিন কী হয়েছিল? রাঘবন লিখেছেন, মোদি তাঁর কোনওরকম প্রতিক্রিয়া লুকিয়ে রাখেননি। প্রশ্নের উত্তরে যেরকম ভাব-ভঙ্গি হওয়ার কথা, তিনি সেটাই দেখিয়েছেন। রাঘবনের সহকারি অফিসার মালহোত্রা দুপুরের খাওয়ার জন্য বিরতি নেয়ার প্রস্তাব দেন। মোদি প্রথমে তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে বিরতি নেন, কিন্তু এক টুকরো খাবারও মুখে দেননি। তিনি শুধু জল খেয়েছিলেন এই ৯ ঘন্টার জেরায়। আর সেই জলও এনেছিলেন নিজেই। সিটের দেওয়া চাও প্রত্যাখ্যান করেন।

লেখার শেষে মন্তব্য নেই, শুধু রাঘবন ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

 

Previous articleলাদাখের ভোটে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে বিজেপির বিরাট জয়
Next articleবিদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ, প্লাজমা থেরাপি হতে পারে সৌমিত্রর