শুভেন্দু কী করছেন? চর্চা কিন্তু বাড়তেই থাকছে

শুভেন্দু অধিকারী ঠিক কী ভাবছেন? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পাচ্ছেন, তা এইরকম-

1) তৃণমূল থেকে নীরব দূরত্ব রেখেছেন শুভেন্দু।

2) কলকাতা আসেন না বা প্রত্যক্ষভাবে মন্ত্রীর কাজ করেন না, বহুদিন হল।

3) তাঁর সমর্থকরা নিজেদের “অনুগামী” বলে পৃথক পরিচিতি তৈরি করছেন।

4) দল বা নেত্রীর ছবি ছাড়া শুভেন্দুর একক ব্যানার, প্রচার, কর্মসূচি বাড়ছে।

5) শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, অন্যান্য জেলাতেও শুভেন্দুর ছবি দিয়ে ব্যানার পড়ছে।

6) সূত্রের খবর, শিগগিরই শুভেন্দু তাঁর বিভিন্ন জেলার অনুগামীদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন।

এইসবটা মেলালে নিশ্চিতভাবেই শুভেন্দুকে ঘিরে চর্চা বাড়বে, সন্দেহ কী?

আবার উল্টোদিকে দেখা যাচ্ছে-
1) শুভেন্দু বিজয়ার পর প্রণাম পাঠিয়েছেন দলনেত্রীকে।

2) প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে একটি শব্দ বলেননি।

3) শিশির অধিকারী বলেছেন, শুভেন্দু দল ছাড়বে না।

রাজনৈতিক জল্পনা বহুমুখী।
ক) শুভেন্দু বিজেপিতে যাবেন। খ) নতুন দল গড়ে বিজেপির সঙ্গে জোটে যাবেন। গ) তৃণমূলেই থাকবেন, তবে নিজেকে যথাসম্ভব গুটিয়ে। ভোটের পর সিদ্ধান্ত।

এই সবই জল্পনা। এর কোনো সত্যতার প্রমাণ এখনই দেওয়া মুশকিল।

বিজেপির দিল্লির সূত্রের খবর, শুভেন্দুর বিষয়টি সরাসরি অমিত শাহ দেখছেন। এর মধ্যে কৈলাস বা কাউকে ঢুকতে দেননি।

শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ একটি শিবির বলছে, নভেম্বর ডিসেম্বর থেকে দিল্লির বিজেপি সবরকম নখদাঁত বার করে নামবে। সব এজেন্সিকে সক্রিয় করা হবে। প্রবল ঝড়ের ইঙ্গিত আসছে। তারা কী করে এবং তৃণমূল তার মোকাবিলা কীভাবে করে, সেসব বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন শুভেন্দু। এখনও তিনি চূড়ান্ত মনস্থির করেননি বলেই খবর। তবে সমর্থকদের তৈরি রাখছেন যেকোনো পথের জন্য। অন্তত ভাবগতিক তাই বলছে।

বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলা দখলে এখনও তারা নিশ্চিত নয়। কিন্তু শুভেন্দুকে তৃণমূলের বাইরে টেনে বার করতে পারলে তাঁরা অনেকটা এগিয়ে যাবেন বলে মনে করছেন। ফলে রাজনৈতিক আলোচনা বা এজেন্সির চাপ, সবরকম দাওয়াই দিয়ে শুভেন্দুকে টানার চেষ্টা হবে। আপাতত শুভেন্দু নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। কিন্তু নভেম্বরে বিশেষ কিছু ঘটনার সম্ভাবনা জোরদার হচ্ছে। বিজেপি চায় শুভেন্দু তাদের দলে যান। কিন্তু তা না করে শুভেন্দু যদি আলাদা দল বা মঞ্চ করেও লড়েন, তাদের কিছু আসন ছাড়তে বিজেপির কোনো আপত্তি নেই।

কিন্তু, শুভেন্দু যে তৃণমূল ছাড়ছেনই, এমন কথা নিশ্চিতভাবে বলার মত পরিস্থিতিটা এখনও তৈরি হয়নি। ফলে নানারকম চর্চা চলছে জোরকদমে।

 

Previous articleঋদ্ধির ঝোড়ো ইনিংসে টুইটারে প্রশংসার বন্যা
Next articleবিহারে শান্তিতেই চলছে বিধানসভার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ