প্রাণ সংশয় ও খরচ বহনের ক্ষমতা থাকলে ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা, নির্দেশ আদালতের

দেশের মধ্যে কারা জেড প্লাস ও সমগোত্রীয় সিকিউরিটি পাওয়ার যোগ্য এবং কারা নয়, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল। দেশের ভিভিআইপি একাধিক নেতা জেড প্লাস নিরাপত্তা অধিকারী। সেই তালিকায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রয়েছেন দিলীপ ঘোষের মত সাংসদও। আবার ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানী ও অনিল আম্বানীর রয়েছে জেড প্লাস নিরাপত্তা। ধনী ব্যবসায়ীর এই নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করেই সম্প্রতি আদালতে দায়ের হয়েছিল মামলা। যেখানে প্রশ্ন তোলা হয়, কেন জনগণের টাকায় তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। যেখানে বিপুল অর্থের অধিকারী ওই দুই ব্যবসায়ী নিজেদের নিরাপত্তার খরচ নিজেরাই বহন করতে সক্ষম। তবে এই মামলা এদিন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। আদালতের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, যাদের জীবন সংশয় রয়েছে এবং যারা নিরাপত্তা ব্যয় বহন করতে সক্ষম তাদেরই জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া উচিত। কার্যত বম্বে হাইকোর্টের রায়কে এদিন সমর্থন করল শীর্ষ আদালত।

সম্প্রতি বম্বে হাইকোর্টে এই মামলার রায়ে জানানো হয়েছিল যে ব্যক্তির জীবন সংশয় রয়েছে এবং যারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য খরচ বহন করতে সক্ষম তাদেরকেই সরকারি পর্যায়ে এই নিরাপত্তা দেওয়া উচিত। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যান হিমাংশু আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তি। তার বক্তব্য ছিল আম্বানী ভাইদের নিরাপত্তার জন্য জনগণের টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা যথেষ্ট ধনী এবং নিজেদের নিরাপত্তা খরচ নিজেরাই বহন করতে সক্ষম। সুতরাং ওই ব্যক্তিদের নিরাপত্তা অবিলম্বে তুলে নেওয়া হোক। যদিও এই জনস্বার্থ মামলা পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। জানানো হয়েছে জীবন সংশয় ও খরচ বহন করতে সক্ষম হলে ব্যক্তি বিশেষে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন:ফের করোনা শহিদ রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক

প্রসঙ্গত, কোন ব্যক্তির জীবন সংশয় রয়েছে তা পুলিশ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করে সরকার। এরপরই দেওয়া হয় জেড প্লাস নিরাপত্তা। পাশাপাশি এদিন শীর্ষ আদালতে আম্বানীর আইনজীবী মুকুল রোহতগি জানান, আম্বানী ভাইদের জীবন সংশয় রয়েছে। এবং সরকার তাদের যে নিরাপত্তা দিচ্ছে তার সম্পূর্ণ খরচ যোগাচ্ছেন অম্বানীরা।