ওরা ছোটলোক! এবার আরও বিস্ফোরক শুভেন্দু সভা ডাকলেন ১০ই

‘লড়াই’ আরও সুনির্দিষ্ট হতে চলেছে৷

এবার ‘বিশাল জন সমাবেশ’-এর ডাক দিলেন ‘ব্যক্তি’ শুভেন্দু অধিকারী৷

আগামী ১০ নভেম্বর ‘নন্দীগ্রামের সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তি’-তে নন্দীগ্রামের গোবিন্দচক হাইস্কুলের মাঠে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু নিজেই৷ শনিবার নন্দীগ্রামে আয়োজিত এক অরাজনৈতিক বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকেই এই ঘোষণা করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এতদিন জেলায় জেলায় ভিড়ে ঠাসা নানা ধরনের কর্মসূচিতে হাজির থাকলেও এই প্রথম নিজেই সমাবেশের ডাক দিলেন তিনি৷ এই ঘোষণার পরমুহুর্ত থেকেই রাজনৈতিক মহলে চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ নানা জল্পনা তৈরি হচ্ছে৷ তাহলে কি ওইদিনই বড়সড় কোনও ঘোষণা করতে চলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী?

এদিনের বিজয়া সম্মিলনী’র মঞ্চে দাঁড়িয়ে
শুভেন্দু এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেছেন, “প্যারাস্যুটেও নামিনি, লিফটেও উঠিনি৷ সিঁড়ি ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আজ এখানে এসেছি৷ আমাকে কিছু বলে কোনও লাভ হবে না৷” দু-দুবার রবীন্দ্রনাথকে সামনে রেখে নাম না করে কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসকেই উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “আমরা চলি সমুখ পানে, কে আমাদের রুখবে”৷ বলেছেন, “চিত্ত যেথা ভয়শূণ্য, উচ্চ যেথা শির”৷
এবং এরপরই বলেছেন,
“ছোটলোকদের দিয়ে অনেক কথা বলানো হচ্ছে৷ ওরা ভাবছে আমি এসবের জবাব দিয়ে নিজেকে ওদের মতো ছোটলোকের স্তরে নিয়ে যাবো৷ আরে, কুকুর মানুষকে কামড়াতেই পারে, তা বলে কোনও মানুষ কুকুরের পায়ে কামড়াতে যায় নাকি ?”
রাজনৈতিক মহলের স্থির ধারনা, বাছাই করা এসব কথা তৃণমূলে উদ্দেশ্যেই বলেছেন তিনি৷

এদিন অনেক কথাই বলেছেন শুভেন্দু৷ সরাসরি তৃণমূলের নাম না করে এমন সব কথা বলেছেন, যা ইঙ্গিতপূর্ণ ৷ এক কথায়, শুভেন্দু অধিকারী এদিন বুঝিয়েছেন, দল-টল নয়, ব্যক্তি শুভেন্দুই মানুষের পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন৷

এছাড়াও এদিন নন্দীগ্রামের মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,

১) আমি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলাম৷ সর্বস্তরের মানুষ আমার শারীরিক খবর নিয়েছেন৷ শুধু দু’জন আজও জানতে চাননি, আমি কেমন আছি৷ নাম এখন বলছি না৷ পরে বলবো৷

২) আমি বিয়ে করিনি শুধুই বৃহত্তর পরিবার গড়বো বলে৷ সতীশ সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যায়, সুশীল ধাড়া অকৃতদার ছিলেন কোনও পিছুটান ছাড়াই যাতে মানুষের কাজ করতে পারেন, সেই কারনে৷ আমার কোনও পিছুটান নেই৷ আপনাদের সবাইকে নিয়ে আমার বৃহত্তর পরিবার৷ আপনারা আছেন, কে আমার কী করবে ?

৩) যে মানুষ অতীত ভুলে যায়, তাঁকে মাশুল দিতে হয়৷

৪) অনেক কিছু শুনছেন এখন৷ আমার মুখ থেকে না শুনলে বিশ্বাস করবেন না৷

৫) ১০ নভেম্বর ‘নন্দীগ্রামের সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তি’-তে নন্দীগ্রামের গোবিন্দচক হাইস্কুলের মাঠে সমাবেশ করছি৷ আপনারা প্রত্যেকে আসবেন৷

আরও পড়ুন-ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ প্রদীপের

Previous articleকরোনার দ্বিতীয় ঢেউ! ফের লকডাউন ফ্রান্সে, বিশেষ কড়াকড়ি জার্মানিতে
Next articleসুশাসনের নিরিখে দেশের সেরা কেরল, সবশেষে যোগীর উত্তর প্রদেশ