মাঝরাতে ভূতের দাপাদাপি রায়গঞ্জের রাজপথে

ঘড়িতে তখন রাত ১২ টা বা ১টা। শুনশান রায়গঞ্জ শহরের রাজপথ। আচমকাই আলো ঝলমলে শুনশান রাজপথে একদল ভূতের দাপাদাপি। আবার সেই ভূতের দলই রাস্তায় দাঁড়িয়ে গানবাজনা ও নাচও করছেন। কিছু মানুষ যাঁরা তখনও রাস্তায় ভূত দেখে কিছুটা আতঙ্কিত। ভুল ভাঙল কিছুক্ষণ পর। যখন সেই ভূতের দলই তাঁদের হাতে তুলে দিলেন চকোলেট-সহ নানা উপহার। আসলে পশ্চিমী সংস্কৃতি মেনে রায়গঞ্জ শহরের একদল যুবক-যুবতী পালন করলেন “হ্যালোইন ডে “। জানালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের আনন্দ দেওয়ার জন্যই ‘হ্যালোইন ডে পালন’। করোনা আবহে এবার রাস্তায় তেমন মানুষ না পাওয়া যাওয়ায় কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে এবারে তাদের এই মজা।

ভূতের নাম শুনে ভয় নয়। মানুষের মৃত্যুর পর তাঁদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা ও জীবিতদের আনন্দ দান করতে পশ্চিমী দেশগুলিতে ৩০ অক্টোবর রাত বারোটা বাজতেই শুরু হয় “হ্যালোইন ডে” উৎসব।গত পাঁচ বছর ধরে রায়গঞ্জ শহরের একদল যুবক যুবতী মুখে নানা রঙ মেখে ‘ভূত’ সেজে রাজপথে বেরিয়ে ‘হ্যালোইন ডে’ পালন করে৷ শুক্রবার রাত বারোটা বাজার পরই রায়গঞ্জ শহরের রাজপথে নেমে পড়ে তথাকথিত ভূতের দল। চলে গান, বাজনা, নাচও। পথচারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় চকোলেট সহ নানা উপহার।

তবে এবছর করোনা আবহ থাকায় এই ভূতের দল রাস্তায় সেভাবে দেখা পাননি পথচারীদের। ফলে অন্যান্যবারের তুলনায় কিছুটা হলে ফিকে হয়েছে হ্যালোইন ডে উৎসব।

 

Previous articleপাহাড়ে ভোটে জিততে বা জেতাতে পারেন না, তবুও বিমলকে ঠেকাতে শেষ চেষ্টা বিনয়ের
Next articleনির্বাচন পর্বেই বিহারে অভিযান আয়কর বিভাগের, বাজেয়াপ্ত বিপুল টাকা, গয়না