দুজনের দারুণ সম্পর্ক।
সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতায় একসঙ্গে কর্মসূচিতেও দেখা গিয়েছে দুজনকে।
মনেরপ্রাণের অনেক কথাও হয়েছে।
এঁরা হলেন সাধন পাণ্ডে এবং শুভেন্দু অধিকারী।
সাধনবাবুর মুখে শুভেন্দু সম্পর্কে ঢালাও প্রশংসা। নিজে সিনিয়র হলেও শুভেন্দুকে এখন রাজনীতিতে এগিয়ে রাখতে সাধনের কোনো আপত্তি নেই।
সাধন এখন কলকাতার বাইরে। ছুটিতে।
শুভেন্দু সংক্রান্ত সব খবর রাখছেন।
ঘনিষ্ঠমহলে তিনি বলেছেন,” শুভেন্দু খুব ভালো ছেলে। দলে কারুর কোনো বক্তব্য থাকতেই পারে। যারা মানুষকে নিয়ে চলে, তাদের কথা শুনে চললে পার্টির মঙ্গল।”

সেই সঙ্গেই নিজের অনুগামীদের সাধন বলেছেন,” আমি এবং আমরা তৃণমূলেই থাকব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ চলবে। বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ার প্রশ্নই নেই। ভোটের মুখে এক হয়ে লড়তে হবে।”

সূত্রের খবর, একটা সময়ে বিশেষ কিছু কারণে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ সাধনবাবু বিকল্প কিছু ভাবনাচিন্তা করছিলেন। কিন্তু মূলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সেই পর্ব মিটে যায়। সাধনবাবুর স্ত্রী সুপ্তি এবং কন্যা শ্রেয়াও তৃণমূলে সক্রিয়। মানিকতলা কেন্দ্র নিয়ে আসরে নেমে পড়েছেন সাধন। শুভেন্দু অধিকারী যদি আদৌ বড়সড় কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে কে কে তাঁর সঙ্গে থাকবেন, তা নিয়ে জল্পনাতেই সাধনের নাম ছিল। এলাকার অনুগামী অনেকেই সাধনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
কিন্তু আপাতত সাধন পাণ্ডে চান শুভেন্দুও সসম্মানে দলেই থাকুন। আর তিনি নিজেও পুরোপুরি তৃণমূলের নেতা হিসেবেই ময়দানে নামবেন।
ঘনিষ্ঠমহলে সাধন বলেছেন,” আসলে উত্তর কলকাতায় কিছু নেতার জন্য দলটার ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে তো এই সন্ধিক্ষণে মমতার পাশ থেকে সরতে পারি না। দলেরও উচিত ক্ষতগুলো মেরামত করা।”

সাধনবাবু সপরিবার ছুটিতে গিয়েছেন।
ফিরে এসেই ওয়ার্ডভিত্তিক এবং বুথভিত্তিক প্রচার কর্মসূচি শুরু করে দেবেন।


আরও পড়ুন-Shuvendu Update: মমতার পাশেই থাকবে অধিকারী পরিবার, জানালেন শিশির, দিব্যেন্দু
